অনলাইন ডেস্ক:- সম্প্রতি হিন্দুদের বাড়িঘরে আগুন,দখল,ভাঙচুর,লুটপাট থামবার কোন লক্ষ্মণ দেখা যাচ্ছে না।প্রতিবারই ভিকটিমদেরই করা হয় গ্রেফতার,তারপর রিমান্ড।কিন্তু কেন এই অরাজকতা?
এইদিকে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে প্রেসব্রিফিংয়ে ঘটা করে বলা হচ্ছে ,অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।পরিস্থিতি একদম শান্ত।কিন্তু সত্যিই কি তাই?
প্রথমতঃ রোগী মারা যাওয়ার পর ডাক্তার আসলো অর্থাৎ,সব কিছু শেষ হওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। দ্বিতীয়তঃ ভিকটিমদের আরেকটি ‘তৈলাক্ত বাঁশ’ দেয়া হলো। তৃতীয়তঃ ভিডিও ফুটেজ দেখে হামলায় জড়িত গ্রেফতারের আশ্বাস দিয়ে ২/৪ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের জামাই আদরে রাখা হলো।
আরেকটা অত্যাশ্চর্যের বিষয় সামনে এসেছে, মুরাদনগর উপজেলার কুরবানপুরের ধ্বংসযজ্ঞের পর ও সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনার প্রেক্ষিতে নিন্দা ও সমালোচনার জবাবে একজন প্রভাবশালী মন্ত্রী বলেন,’হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের’ নেতৃবৃন্দ বাড়িয়ে বলছেন।তেমন কিছুই নাকি হয়নি।
মন্ত্রীর এইসব কথা শুনে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন,‘অনেক ঘটনার বিচার আমরা দেখছি কিন্তু সংখ্যালঘুদের উপর নৃশংসতার পর এমন তোড়জোড় কোথায়? কষ্টের হলেও বাস্তবতা একদম ভিন্ন। চোখের সামনে অসাম্প্রদায়িক একটি রাষ্ট্রের চরিত্র বদলে দেয়া হচ্ছে।বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জায়গা সম্পত্তি গ্রাস করার হীন লালসা থেকে,ব্যক্তিগত অথবা রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতেই প্রতিপক্ষরা ধর্মপ্রাণ মানুষকে বারবার ব্যবহার করে পার পেয়ে যাচ্ছে।প্রকৃত অপরাধীরা বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়ার আগেই জামিনে বাইরে বের হয়ে স্বদর্পে নতুন কোন অঘটনের প্রস্তুতি নিতে থাকেন।এই দেখে উৎসাহিত হন অন্য অপরাধীরা। পক্ষান্তরে প্রতিটি অঘটনের পর ভিকটিমদের ভাগ্যেই জোটে আরো নিপীড়ন। মুখ বন্ধ রাখলে যদি দেশে শান্তি ফিরে আসে তাহলে ‘মুখ বন্ধের’ আন্দোলনে আমরা শরিক হতে চাই।’
বিষেরবাঁশী.কম/ডেস্ক/সুভাষ সাহা