শুক্রবার ১৫ চৈত্র, ১৪৩০ ২৯ মার্চ, ২০২৪ শুক্রবার

তুরস্ক ও গ্রিসে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২২

অনলাইন ডেস্ক:- এজিয়ান সাগরে ৭ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূকিকম্পে তুরস্কের ইজমির শহরে একটি বহুতল ভবন ধসে অন্তত ২০ জন এবং গ্রিসে দেয়াল ধসে দুই স্কুল ছাত্র নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার ওই ভূমিকম্পে দুই দেশে ৮ শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। এখনও অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

ভুমিকম্পের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকা ও গ্রিস উপদ্বীপে জলোচ্ছ্বাস আঘাত হেনেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, সাত মাত্রার ওই ভূমিকম্পে ইজমির শহরে লোকজন আতঙ্কে রাস্তায় নেমে এসেছেন। সাগর তীরবর্তী বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

ইজমিরের মেয়র টিনক সোয়ার বলেন, প্রদেশটিতে অন্তত ২০টি ভবন ধসে পড়েছে। ধ্বংসস্তূপ থেকে শতাধিক জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।

তুরস্কের অন্যতম পর্যটন শহর ইজমিরের বিভিন্ন শহরে ভেঙে পড়া বাড়িঘরে লোকজনের আটকে পড়ার খবর পাওয়া গেছে।

সেফিরিহিসারের মেয়র ইসমাইল ইয়েটিসকিন বলেন, ভূমিকম্পে সমুদ্রের স্তর বেড়ে গেছে। ছোটখাট সুনামি আঘাত হেনেছে বলে মনে হচ্ছে।

শুধু তুরস্কই নয়, গ্রিসেও ভূমিকম্পে প্রাণহানি হয়েছে। স্কুল থেকে বাসায় ফেরার পথে দেয়াল চাপায় দুই ছাত্র নিহত হয়েছে, বেশ কিছু বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গ্রিসের রাজধানী এথেন্স এবং তুরস্কের ইস্তাম্বুলেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।

মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপসংস্থা ইউএসজিএসর তথ্যানুযায়ী, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল গ্রিসের সামোস দ্বীপের কারলোভাসি শহর থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে। এর মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৭।

তবে এর মাত্রা রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৬ বলছে তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে, গ্রিসের ভূমিকম্প জরিপ সংস্থা বলছে, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৭।

হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।গ্রিসের সরকারি টেলিভিশনে বলা হচ্ছে, ভূমিকম্পের পর পূর্বাঞ্চলীয় এজিয়ান সাগরের সামোস দ্বীপে ক্ষুদে-সুনামির সৃষ্টি হয়েছে।

বিষেরবাঁশী.কম/ডেস্ক/রূপা

Categories: আন্তর্জাতিক

Leave A Reply

Your email address will not be published.