অনলাইন ডেস্ক:- করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘ বিরতির পর আবারো ফ্লাইট চালু হয়েছে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে।
আজ ২৮ অক্টোবর বুধবার এয়ার বাবল চুক্তির অধীনে সকাল সাড়ে ৮ টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট উদ্বোধন করেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কে দোরাইস্বামী। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস এম মার্শাল মফিদুর রহমান, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ এইচ এম তৌহিদ উল আহসান ও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ।
উদ্বোধনী দিনে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স প্রথম বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ফ্লাইট চালু করেছে। ঢাকা থেকে চেন্নাই রুটে এখন থেকে নিয়মিত ফ্লাইট চালাবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।
এর আগে বেবিচক সূত্র জানায়, ‘এয়ার বাবল’ চুক্তির অধীনে প্রতি সপ্তাহে বাংলাদেশ ও ভারত ২৮টি করে ৫৬টি ফ্লাইট পরিচালনা করবে। এতে সপ্তাহে পাঁচ হাজার জনের মতো যাত্রী উভয় দেশে যাতায়াত করতে পারবেন। বাংলাদেশের প্রস্তাবে উভয় দেশের যাত্রীদের জন্য ৭২ ঘণ্টার আগের কভিড-১৯ নেগেটিভ সনদ বাধ্যতামূলক করার কথা বলা হয়েছে। ভারতের স্পাইস জেট, ইন্ডিগো, এয়ার ইন্ডিয়া, গোএয়ার, ভিস্তারা-এই ছয় এয়ারলাইনস দিল্লি-কলকাতা-চেন্নাই-মুম্বাই-চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটে ২৮টি ফ্লাইট পরিচালনার তালিকা দিয়েছে। অন্যদিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ঢাকা-দিল্লি, দিল্লি-ঢাকা, ঢাকা-কলকাতা ও কলকাতা-ঢাকা রুটে, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস ঢাকা-কলকাতা, কলকাতা-ঢাকা, ঢাকা-চেন্নাই, চেন্নাই-ঢাকা রুটে এবং নভো এয়ার ঢাকা-কলকাতা ও কলকাতা-ঢাকা রুটে বিমান পরিচালনা করবে।
করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ভারতের সঙ্গেও আকাশপথে নিয়মিত যোগাযোগ মার্চ থেকে বন্ধ হয়ে যায়। গত ১৮ আগস্ট ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বাংলাদেশ সফরে এসে ‘এয়ার বাবল’ চুক্তির প্রস্তাব দেন। ১৭ সেপ্টেম্বর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব দেয় ভারত।
বিষেরবাঁশী.কম/ডেস্ক/রূপা