শুক্রবার ১৫ চৈত্র, ১৪৩০ ২৯ মার্চ, ২০২৪ শুক্রবার

ছাগল নিয়ে ছাগলামি!

সুভাষ সাহা: গত ২৯ জুলাই ডুমুরিয়ায় দুস্থ পরিবারদের মাঝে ছাগল বিতরণ করেছেন মৎস ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ।এ নিয়ে স্থানীয় একটি পত্রিকায় নিউজ হলো-প্রতিমন্ত্রীর দেয়া ছাগলটি রাতেই মারা গেছে।খবরটি স্থানীয় সাংবাদিক আঃলতিফ মোড়ল ফেসবুকে শেয়ার করেন।আবার এও বলা হয়েছে, স্থানীয় দৈনিক প্রবাহের ডুমুরিয়া প্রতিনিধি আঃলতিফ মোড়ল “প্রতিমন্ত্রীর সকালে বিতরণ করা ছাগল রাতে মৃত্যু” শিরোনামে একটি স্টেটাস দেন! তারপর আওয়ামী লীগপন্থী স্থানীয় আরেক সাংবাদিক সুব্রত ফৌজদার ৩১ জুলাই ক্ষিপ্ত হয়ে আঃলতিফ মোড়লের বিরুদ্ধে থানায় ৫৭ ধারায় মামলা ঠুকে দেন।তারপরের ঘটনা সবার জানা।সবশেষ খবর; গ্রেফতার আঃলতিফ মোড়ল আজ সকালে আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন।পুরো ঘটনায় দেশ যখন তোলপাড় তখন প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য; ‘মামলার ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা।আমি টোকেন হিসেবে যে ছাগলটি বিতরণ করেছি সেটি মারা যায়নি।এসবই আমি জানলাম মামলা ও গ্রেফতারের ঘটনার পর।’

ক্যাপশান : ছাগল প্রতীকী ছবির নিচে সাংবাদিক আঃলতিফ মোড়ল ও মামলার বাদী সাংবাদিক সুব্রত কুমার ফৌজদার

এ প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন,’আমি জেনেছি,ওই অনুষ্ঠানের কোনও ছবি না দিয়ে আমার একটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি দিয়ে ছাগল মরার নিউজটি করা হয়েছে।নিউজ করলেতো অনুষ্ঠানের ছবি দিয়ে নিউজ করবে।ইন্টারন্যাশনালি হেয় করার জন্য এটা করা হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন,’যারা সাংবাদিক তাদেরও মানুষকে একটু মর্যাদা দিতে হবে।পরস্পরের মধ্যে আস্থা ও শ্রদ্ধা থাকতে হবে।আমরা আপনাদের থেকে ভিন্ন নই।আপনারা সমালোচনা করবেন তবেই না আমরা পারফেক্ট হবো।’
অন্যদিকে ৫৭ ধারায় মামলার বাদী সুব্রত ফৌজদার এ প্রসঙ্গে আক্ষেপ করে বলেন, ‘ছাগল মরিছে সত্য,মন্ত্রীর দোষ কী? আমার আঘাতের জায়গা হলো মন্ত্রী স্যারের সম্মান।ছাগল তো মরতেই পারে।’
এদিকে ‘ছাগলের’ ঘটনাটি নিয়ে মুখরোচক মন্তব্যে সামাজিক গণমাধ্যমে যখন তোলপাড় তখন কেউ বলছেন তুচ্ছ ঘটনা, আবার কেউ বলছেন,ঘটনা তুচ্ছ হলেও নিউজের ‘ইনটেনশান’ তুচ্ছ না।তাই এই ‘ইনটেনশানকে’ তুচ্ছ বলা যাবে না।
শেষকথা; কোনকিছু নিয়েই ছাগলামী অনভিপ্রেত।

বিষেরবাঁশী ডেস্ক/সংবাদদাতা/হৃদয়

Categories: জাতীয়,রাজনীতি,সারাদেশ

Leave A Reply

Your email address will not be published.