শুক্রবার ৬ বৈশাখ, ১৪৩১ ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ শুক্রবার

পাপিয়া কেলেঙ্কারি ঘিরে রুইকাতলার নাম আসছে! (ভিডিওসহ)

নিজস্ব প্রতিবেদন: মক্ষিরানীদের ইতিকথা। কেচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে আসছে! ১৫৩ জন অপকর্মকারীর তালিকা শেখ হাসিনার হাতে!
আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা এরকম ১৫৩ জনের একটি তালিকা দিয়েছে বলে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছেন। কোন রকমের অনুকম্পা না দেখানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ।
https://www.facebook.com/bisherbashi24/videos/2261452554157155/?t=138
পাপিয়া কি একদিনে তৈরি হয়েছে ? কারা তৈরি করেছেন? ইতিপূর্বে অপকর্মের দায়ে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতারা নেতৃত্ব হারালে – বেশ্যাদের অপরাধের দায় নিয়ে তারা কেন পদে বহাল থাকবেন? যুব মহিলা লীগ নেতৃত্ব কেনো বেশ্যাদের অপরাধের দায় নিয়ে পদত্যাগ করছে না?
যুবমহিলা লীগে পাপিয়া কি করে পদ বাগিয়েছেন? পাপিয়াদের কারা সমাজে প্রতিষ্ঠিত করে?  কারা এসব বেশ্যা ও বেশ্যার দালাল সর্দারনীদের বঙ্গভবনসহ সকল সরকারি ও সামাজিক অনুষ্টানে যাবার সূযোগ করে দেন?
এসব অপরাধের শক্তির উৎস কী? পাঁচতারকা হোটেলকে কিভাবে বেশ্যালয় বানানো হয়েছে? পাঁচতারকা হোটেলগুলো কি অপরাধের বাইরে? একজন পাপিয়াকে বহিস্কারেই কী দল অপরাধী মুক্ত হবে ?
এসবের উত্তর দেয়ার সময় এসেছে। কেন্দ্রে বসে বেশ্যাদের কাছে পদ বিক্রীর দায়দায়িত্ব নিতে হবে।  দোষীদের পদত্যাগ করতে হবে। অন্যথা ভবিষ্যতে আরো বড় খেসারত দিতে হতে পারে!
অতীতে জাতীয় পার্টি ও বিএনপি যুগের কামিনি কাঞ্চনের অভিশপ্ত বহু গল্প এখনো বিস্মৃত হয়নি। তাদের রঙ্গখানায় যোগাযোগের সুবাদে রাতারাতি কিছুলোের ভাগ্য বদলালেও দলের পরিণতি ভোগ করতে হয়েছে।
মিটিং মিছিলে মেয়ে সাপ্লাই দিয়ে ক্ষমতাসীনদের অনেকের সাথে পরিচয় থেকে দহরম মহরম। দেনাপাওনা। তারপর অনায়াসে বাগিয়ে নেয়া। একলাফে নরসিংদী জেলা মহিলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক!
আস্তে আস্তে তার নারী বাহিনীর কলেবর বাড়ে, বাহিনীতে যোগ হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে, কলেজে পড়ুয়া ছাত্রী, রাজনৈতিক কর্মী, গৃহবধূ, ভবঘুরে যৌনকর্মী। একপর্যায়ে রাজধানীর অভিজাত এলাকায় বিশাল ফ্ল্যাটে মধুকুঞ্জ!
পরের ধাপে একলাফে পাঁচ তারকা হোটেল। রাজনৈতিক নেতা, প্রভাবশালী ধনাঢ্য ব্যবসায়ী,পুলিশ প্রশাসনের অনেকেই তার খদ্দের।অনেক  উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা, প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা তার পকেটে। ডানে-বামে সমীহ করা লোকে সংখ্যা বাড়তে থাকে। বড় বড় জনসভার মঞ্চের সামনের আসনে বসেন সবার দৃষ্টি কাড়েন।।
পরের ধাপে প্রধানমন্ত্রীর মঞ্চে বসার স্বপ্ন! রঙিন নেশায় বুঁদ।।
একদিন লোকাল পুলিশ স্টেশন থেকে টেলিফোন, ম্যাডাম, কিছুদিন র‍্যাকেট বন্ধ রাখতে হবে। ক্ষেপে যায় ম্যাডাম, কেন রে হারামির বাচ্চা ; মাসে মাসে টাকা দিইনা?
ম্যাডামের চোট পাটে ঘাবড়ে যায়  কর্মকর্তা ; আমতা আমতা করে বলে, দেখুন ম্যাডাম, বুঝার চেষ্টা করুন।আমরা তো কিছু করছি না।কিন্তু র‍্যাব ধরলে কিন্তু ছাড়বে না! মুখে চুনকালি পড়বে। রেগেমেগে ঘোতঘোত করে মক্ষিরানী ফোন ছেড়ে দেয়। তারপর যা হবার তাই হলো।
বিষেরবাঁশি.কম/ডেস্ক/মৌ দাস

Categories: অপরাধ ও দুর্নীতি,শীর্ষ সংবাদ,সারাদেশ

Leave A Reply

Your email address will not be published.