রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় ৪জনের মৃত্যু
অনলাইন ডেস্ক: রাজধানীর বনানীতে নুরুল ইসলাম (৬০), গুলশানে গৃহকর্মী স্বর্ণা (১৬), ভাটারায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থী জুলেখা আক্তার জুলি (১৫) ও সবুজবাগে নির্মাণ শ্রমিক ফিরোজ কবির (১৯) নামে ৪জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
মৃত নুরুল ইসলামের স্বজন আব্দুস সালাম বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে বনানীর চেয়ারম্যান বাড়ি মোড়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় বেপরোয়া একটি বাসের চাপায় নুরুল ইসলাম মারা যান। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জে। তিনি চিকিৎসার জন্য সোমবার বনানীর টিঅ্যান্ডটি কলোনিতে তার বাসায় এসেছিলেন।
গুলশান থানার এসআই মোহাম্মদ মামুন মিয়া বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গুলশানের ৪৮ নম্বর রোডের, ১৮/বি, বাড়ির রেজাউল করিম খানের বাসা থেকে গৃহকর্মী স্বর্ণার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। মেয়েটি ওই বাসায় দীর্ঘদিন ধরে গৃহকর্মী হিসাবে কাজ করতো। তার বাবার নাম ফাইজুল এবং মায়ের নাম খোরশেদা। বাড়ি কিশোরগঞ্জ সদর থানার বত্রিশ গ্রামে।
ভাটারা থানার এসআই মো. নুর ইসলাম সিকদার জানান, গত মঙ্গলবার দুপুরেভাটারার বোর্ডঘাট এলাকার মজিবরের টিনসেট বাসা থেকে মাদ্রাসা শিক্ষার্থী জুলির লাশ উদ্ধার করা হয়। মেয়েটি স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল। তার বাবা আব্দুল জলিল সিএনজি চালিত অটোরিকশার চালক। তার মা মর্জিনা বেগম গার্মেন্টস কর্মী। বাড়ি গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার ঘোরাইদ গ্রামে।
এদিকে, সবুজবাগ থানার এসআইমামুনুর রশিদ জানান, সবুজবাগের মধ্য বাসাবো এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবনে ফ্যানের হুকের সঙ্গে রশি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় নির্মাণ শ্রমিকফিরোজের লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি নির্মাণাধীণ ওই ভবনে রড মিস্তির কাজ করতেন এবং সেখানেই থাকতেন। তার বাবার নাম মো. ইনছার আলী। বাড়ি গাইবান্ধার ফুলছড়ি থানার বনারপাড়া গ্রামে।
বিষেরবাঁশি.কম/ডেস্ক/মৌ দাস/আহসান শিপু
Categories: সারাদেশ