শুক্রবার ১৫ চৈত্র, ১৪৩০ ২৯ মার্চ, ২০২৪ শুক্রবার

সভায় ঢুকতে পারেননি, তবুও শ্রীনিবাসনই ‘আসল’ খেলোয়াড়

  • অনলাইন ডেস্ক

বয়সের কারণে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) বিশেষ সভায় থাকতে পারেননি সংস্থাটির বিতর্কিত সাবেক সভাপতি এন শ্রীনিবাসন। কিন্তু সভার বাইরে থেকেও ঠিকই কলকাঠি নেড়েছেন। এতে তার মত সত্তরোর্ধ্ব বুড়োদের বাইরে রেখে বোর্ড গঠনে লোধা কমিশনের যে সুপারিশ ছিল, সেটি তীব্র বিরোধিতার মুখে পড়েছে। বলা হচ্ছে এই বিরোধীতাকারীরা শ্রীনির অনুসারী। তারা জিতলে আবারও তাই ক্রিকেট প্রশাসনে ফেরার পথ প্রশস্ত হতে পারে আগাগোড়া বিতর্কিত শ্রীনির।

বৃহস্পতিবার বিসিসিআইয়ের বিশেষ সভায় শ্রীনি এবং তার বিতর্কিত অনুসারী নিরঞ্জন শাহর প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন বিচারপতি লোধার সুপারিশে গঠিত বিশেষ কমিশন। সেই সভায় থাকতে পারেননি বিসিসিআইয়ের প্রধান নির্বাহী রাহুল জোহরিসহ বোর্ডের অন্য অনেক কর্মকর্তাও। কেবল মাত্র বিভিন্ন রাজ্যের বোর্ড সভাপতিদের প্রবেশাধিকার ছিল। সেজন্য ভারপ্রাপ্ত সচিব অমিতাভ চৌধুরীকে প্রতিনিধিদের স্বীকৃতিপত্র পরীক্ষা করতে হয়েছে সতর্কভাবে। অন্য সময় সাধারণ কর্মীরাই এ ধরনের কাজ করে থাকেন।

লোধা কমিশনের বিশেষ সুপারিশ ছিল ৭০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের ক্রিকেটের প্রশাসনে ঢুকতে না দেওয়ার। সরকারের মন্ত্রী এবং কর্মকর্তাদেরও ক্রিকেটে জড়িত হওয়া নিয়ে আপত্তি কমিটির। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে বোর্ড সদস্যদের মত ভিন্ন।

শীর্ষ কর্মকর্তাদের বয়স ৭০ বছর করা এবং ক্রিকেট প্রশাসনে তাদের পদের মেয়াদ ৯ বছর করার দাবি জানিয়েছেন সভায় উপস্থিত প্রতিনিধিরা। এছাড়া মন্ত্রী এবং সরকারি কর্মকর্তাদের ক্রিকেট প্রশাসনে ঢুকতে না দেওয়ার সুপারিশের ব্যাপারেও আপত্তি রয়েছে তাদের। সেটা কার্যকর হলে শ্রীনিবাসনের মত ব্যক্তিদের আবারও বিসিসিআইয়ের প্রশাসনিক ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পথ পরিষ্কার হয়ে যাবে।

শ্রীনিবাসনের মত বিতর্কিত কর্মকর্তাদের ব্যাপারে বোর্ড প্রতিনিধিদের সমর্থন দেখে লোধা কমিশন স্তম্ভিত বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো। আবারও শ্রীনির মত লোকদের ক্ষমতা বৃদ্ধির চেষ্টা ক্রিকেটের জন্য অশনি সংকট বলেই মনে করছে লোধা কমিশন।

 

বি.বা/ডেস্ক/ক্যানি

Categories: খেলাধূলা

Leave A Reply

Your email address will not be published.