অনলাইন ডেস্ক: নওগাঁ জেলার ধামইরহাটে গত বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) একই দিনে দুই মাদরাসার শিক্ষার্থীর ধর্ষিত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। থানা পুলিশ স্থানীয়দের সহযোগিতায় দুই ধর্ষককে আটক করে নওগাঁ কোর্ট হাজতে প্রেরণ করে। এ বিষয়ে ধামইরহাট থানায় ৩১ অক্টোবর রাতে ৩৭ ও ৩৮ নং পৃথক দুটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
থানার অভিযোগের সূত্রে জানা যায়, ৩১ অক্টোবর উপজেলা বড়থা ডি.আই ফাযিল মাদরাসার ৭ম শ্রেনির শিক্ষার্থী কাজীপুর গ্রামের আফাজ উদ্দিনের মেয়ে (১৩) দুপুর ১২ টায় মাদরাসা ছুটির পরে বাড়ী আসার পথে বড়থা-কাজিপুর বিশাল ধান ক্ষেতের মাঠে বড়থা গ্রামের আ. ছাত্তারের ছেলে হেলাল হোসেন (২৫) তাকে একা পেয়ে উপর্যুপরি ও জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় মেয়েটির চিৎকার শুনে জনৈক কৃষক এগিয়ে আসলে ধর্ষক পালিয়ে যায়। ভিকটিম প্রাণভয়ে বাড়ি এসে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে স্থানীয় বাচ্চু ডাক্তারের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে জ্ঞান ফিরলে মেয়েটি তার পরিবারকে ঘটনার বিষয় জানালে পরিবার থানা পুলিশে খবর দেয়।
থানা পুলিশ স্থানীয়দের সহযোগিতায় ধর্ষক হেলাল সহ ভিকটিমকে রাত ৮ টার দিকে থানায় নিয়ে আসে এবং ভিকটিমের মা ফেরদৌসি বাদি হয়ে ধামইরহাট থানায় ধর্ষনের মামলা দায়ের করে।
এদিকে উপজেলার ইসবপুর ইউনিয়নের বৈদ্যবাটি এলাকায় ৩১ অক্টোবর বেলা ১১ টার দিকে জনৈক মৃত প্রতিবেশিকে দেখতে যায় সাহাপুর মাদরাসার ৯ম শ্রেনির শিক্ষার্থী কাইছুর রহমানের মেয়ে (১৭)। এ সময় মেয়েটিকে একা পেয়ে একই গ্রামের সাবের আলীর ছেলে মাহফুজুর রহমান (২৮) প্রতিবেশীর বাড়িতে কৌশলে ডেকে নিয়ে প্রতিবেশীর ঘরের ভেতর জোর পূর্বক ধর্ষন করে। মেয়েটির চিৎকারে স্থানীয়রা ধর্ষক মাহফুজুরকে হাতে নাতে আটক করে থানা পুলিশে খবর দেয়। থানা পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসলে ভিকটিমের মা মুরশিদা বেগম ধর্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
ধামইরহাট থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মাহবুব আলম জানান, পৃথক দুটি ধর্ষনের বিষয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষনের সত্যতা আসামীরা স্বীকার করেছেন, এবং তাদের কোর্টে চালান দেওয়া হয়েছে।
বিষেরবাঁশি.কম/ডেস্ক/মৌ দাস/মোঃ আবুমুছা স্বপন