শুক্রবার ১৩ বৈশাখ, ১৪৩১ ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ শুক্রবার

আবরারের রুমমেট মিজান ৫ দিনের রিমান্ডে

অনলাইন ডেস্ক: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় তার রুমমেট মিজানুর রহমান মিজানকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গত বুধবার (২৩ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাকিম বাকী বিল্লাহ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান মিজানকে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে হাজির করেন। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক এ আদেশ দেন। আদালতে শুনানিতে মিজানের কোনও আইনজীবী ছিলেন না। বিচারক তাকে জিজ্ঞাস করেন, ‘আপনার আইনজীবী আছে?, আপনি কি আবরারের রুমমেট?’ আইনজীবী নেই জানিয়ে মিজান আদালতকে জানায়, ‘জি, আবরার আমার রুমমেট।’ আদালতের প্রশ্ন , ‘আপনি কোন বিভাগের?’ মিজানের জবাব, ‘পানিসম্পদ বিভাগের।’ এরপর আদালতের শুনানি শেষে সাংবাদিকদের মিজান জানায়, ‘আবরারকে ডেকে নেওয়ার পরে আমি যাই। এরপর রাত ১১টার দিকে আমাকে ১৬ ব্যাচের দুজন বলে তুই চলে যা। এরপর আমি চলে আসি।’ গত ১১ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিজানকে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। একইসঙ্গে আবেদনে তিনি বলেন, ‘পরবর্তীতে প্রয়োজন হলে রিমান্ডের আবেদন করবেন। এরপর বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। উল্লেখ্য, গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বুয়েটের ১৭তম ব্যাচের ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র আবরার ফাহাদ রাব্বীকে। রাত তিনটার দিকে শেরে বাংলা হলের দ্বিতীয় তলা থেকে আবরারের মরদেহ উদ্ধার করে কর্তৃপক্ষ। পুলিশ জানিয়েছে, তাকে পিটিয়ে হত্যার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় একাধিক ভিডিও ফুটেজও পাওয়া গেছে। আবরারকে হত্যার ঘটনায় তার বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত এজাহারভুক্ত ১৯ আসামির মধ্যে ১৬ জন এবং সন্দেহভাজন হিসেবে পাঁচজনসহ মোট ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে আট জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। তারা হলেন ইফতি মোশাররফ সকাল, মেফতাহুল ইসলাম জিওন, অনিক সরকার, মো. মোজাহিদুর রহমান, মেহেদি হাসান রবিন, মনিরুজ্জামান মনির, তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর ও এ এস এম নাজমুস সাদাত। এছাড়া আবরার হত্যার ঘটনায় আরো দুজন সাক্ষী এখন পর্যন্ত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তারা হলেন বুয়েটের শেরেবাংলা হলের নিরাপত্তা রক্ষী মো. মোস্তফা ও একই হলের ক্যান্টিন বয় জাহিদ হোসেন। এজাহারভুক্ত তিন আসামি এখনো অধরা। তারা হলেন, জিসান, মো. মোর্শেদ ও মো. তানিম। বিষেরবাঁশি.কম/ডেস্ক/মৌ দাস/আহসান শিপু

Categories: জাতীয়

Leave A Reply

Your email address will not be published.