শুক্রবার ১৫ চৈত্র, ১৪৩০ ২৯ মার্চ, ২০২৪ শুক্রবার

লাদেনের সঙ্গে বৈঠক করা শীর্ষ নেতা আতিকুল্লাহ গ্রেফতার

অনলাইন ডেস্ক: আল কায়দার প্রধান ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে বৈঠক করা হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামীর (হুজিবি) শীর্ষ নেতা আতিকুল্লাহ ওরফে আসাদুল্লাহ ওরফে জুলফিকার ও তার দুই সহযোগীকে বুধবার (০২ অক্টোবর) অবশেষে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) গ্রেফতার করেছে। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে এই দুর্ধষ জঙ্গি রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় আত্মগোপন করেছিলেন। বুধবার বিকালে তাদের গ্রেফতারের পর বৃহস্পতিবার (০৩ অক্টোবর) তাদেরকে ৪ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমাম শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। আতিকুল্লাহ’র দুই সহযোগী হলো মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন ওরফে শামীম (৪৫) ও বোরহান উদ্দিন রাব্বানী (৪২)। আদালতে সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) রাফাত আরা সুলতানা জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খিলক্ষেত থানার পরিদর্শক কামরুজ্জামান ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আসামিদের আদালতে হাজির করেন। আদালত ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বুধবার বিকালে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকার নিকুঞ্জ ২-এর বড় মসজিদ এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে। আতিকুল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবে অবস্থান করে দেশে হুজিবিকে সংগঠিত করার চেষ্টা করছিল। গত মার্চে সে দেশে আসে। তার বিরুদ্ধে খিলক্ষেত থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সিটিটিসি’র কর্মকর্তারা জানান, আতিকুল্লাহ ১৯৯৬ সালে মুফতি হান্নানের নেতৃত্বে গঠিত হুজিবি’র কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক ছিল। পরে তিনি বায়তুল মাল ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের দায়িত্বশীল হন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রথম দিকে আতিকুল্লাহ দুবাই হয়ে সৌদি আরব পালিয়ে যান। সেখান থেকে একাধিকবার তিনি পাকিস্তান গিয়ে দেশটির জঙ্গি সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে। সেসব বৈঠকে বাংলাদেশে হুজিবিকে সচল করার নানা পরিকল্পনা করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আতিকুল্লাহ জানায়, তিনি আশির দশকের শেষের দিকে আফগানিস্তানে সোভিয়েতবিরোধী যুদ্ধে অংশ নেন। তিনি বোমা তৈরিতে বিশেষভাবে দক্ষ। ওই সময় থেকেই তার সঙ্গে আল-কায়েদার প্রয়াত প্রধান ওসামা বিন লাদেন, তালেবানের সাবেক শীর্ষ নেতা মোল্লা ওমরসহ আল-কায়েদার বর্তমান নেতা আইমান আল জাওয়াহেরির সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। গত মার্চে তিনি দেশে এসে নতুন করে হুজিবিকে সংগঠিত করার কাজে নামে। ইতোমধ্যে তিনি নতুন- পুরনো অনেক সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এছাড়া তিনি জেলে থাকা হুজিবি সদস্যদের জামিনে বের করে আনার জন্যও তৎপর ছিলেন। রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে তার তৎপরতা ছিল। রোহিঙ্গা ও কাশ্মির ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে তিনি নতুন সদস্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করছিল। আতিকুল্লাহর সঙ্গে গ্রেফতার হওয়া নাজিম উদ্দিন হুজিবি’র ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্বশীল এবং বোরহান উদ্দিন রাব্বানী ফেনী জেলার দায়িত্বে আছেন। আতিকুল্লাহর বাড়ি ফেনী জেলার দাগনভুঁইয়া দেবরামপুর এলাকায়। তার বাবার নাম হাফেজ আহসান উল্লাহ। বিষেরবাঁশি.কম/ডেস্ক/মৌ দাস.

Categories: আন্তর্জাতিক

Leave A Reply

Your email address will not be published.