মঙ্গলবার ৫ চৈত্র, ১৪৩০ ১৯ মার্চ, ২০২৪ মঙ্গলবার

লালবাগ কেল্লার সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ, বাংলাদেশ আমার দ্বিতীয় বাড়ি: শহীদ আফ্রিদি

অনলাইন ডেস্ক: শহীদ আফ্রিদি, পাকিস্তানি অল রাউন্ডার। তিনি পাকিস্তানের হয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে অনেকবারই ঢাকায় এসেছেন। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) খেলতেও এসেছেন। তবে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়কের এই দেশটি খুব একটা ঘুরেফিরে কখনোই দেখা হয়নি। আসলে তেমন সুযোগই আসেনি কখনোও। গত বছর বিপিএল খেলতে এসে আফ্রিদি ঘুরেন লালবাগ কেল্লায়। মোঘল সুবাদারদের সৃষ্টি ঐতিহ্যবাহী এই স্থানে গিয়ে মুগ্ধ হলেন আফ্রিদি। বরাবরই বাংলাদেশের সাধারণ জনগনের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সিক্ত হন বলে জানালেন আফ্রিদি। তাই পাকিস্তানি এই অল রাউন্ডার লাল সবুজের দেশটিকে নিজের দ্বিতীয় বাড়ি বলেই মনে করেন। বিপিএলের দ্বিতীয় আসর ছাড়া প্রতি আসরেই খেলেছেন আফ্রিদি। এবার তাঁবু গেড়েছেন ঢাকা ডায়নামাইটসে। দলটির হয়ে এদিন লালবাগ কেল্লায় গিয়ে জানালেন নিজের মুগ্ধতার কথা, ‘বাংলাদেশে আমি সবসময় উপভোগ করি। এটা আমার দ্বিতীয় বাড়ি। আমি সবসময় এখানে ক্রিকেট খেলতে পছন্দ করি। এখানকার জনগণের কাছ থেকে আমি সবসময় আমি ভালো সাড়া, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা পাই। এ কারণেই আমি এখানে খেলতে ভালবাসি এবং প্রতিবছর খেলতে চলে আসি।’ দেশের বাইরে খেলতে গেলে সবচেয়ে বড় সমস্যা হয় কন্ডিশন ও খাবার দাবারে। তবে উপমহাদেশের দেশগুলোতে কন্ডিশনের তেমন পার্থক্য না থাকায় এ নিয়ে ভাবতে হয়না আফ্রিদিকে। যদিও দুই দেশের সংস্কৃতি সম্পূর্ণই আলাদা। তারপরও দুই দেশের খাবারে অনেক মিল রয়েছে। তাই এ দেশের খাবার খেতে কোন সমস্যায় পড়তে হয়না আফ্রিদিকে, ‘পাকিস্তানি খাবারের সঙ্গে এখানকার খাবারের অনেক মিল আছে। তেমন কোন পার্থক্য নেই।’ দেশের হয়ে হোক কিংবা ফ্রাঞ্চাইজি লিগ, কোন দেশে সফরে গেলে বাইরে ঘুরতে যাওয়ার তেমন সুযোগ হয়না খেলোয়াড়দের। তবে অবসরে দলের সঙ্গে লালবাগ কেল্লায় যেতে পেরে দারুণ খুশি আফ্রিদি। খেলোয়াড়, টিম ম্যানেজমেন্টকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এমন একটা উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। এটা শুধু ক্রিকেট নয়, আমাদের সামাজিক জীবন আছে, সম্প্রদায় আছে, যেখানে আমাদের প্রচুর ভক্ত আছে। তারা তাদের ক্রিকেটারকে এক এক করে দেখতে চায়। আমি আজকে খুব খুশি।’ ঢাকার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত মুঘল দুর্গ স্থাপনা অন্যতম নিদর্শন লালবাগ কেল্লা। মুঘল সবাদারদের এ স্থাপনার সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ হয়ে আফ্রিদি বলেন, ‘এটা খুব ভালো। এটা একটি ঐতিহাসিক স্থানও বটে। ঢাকা ঘুরে দেখার জন্য আমার মনে হয় এটা আমার জন্য এবং আমার দলের জন্য খুব ভালো। এটা একটা সম্প্রদায়কে আকর্ষণের দারুণ একটা সুযোগ। বিষেরবাঁশি.কম/ডেস্ক/মৌ দাস.

Categories: খেলাধূলা

Leave A Reply

Your email address will not be published.