বাসায় একা পেয়ে ডিস লাইনের মালিক জামাল হোসেন এবং লাইনম্যান আনিছুর রহমান ধর্ষণের পর স্কুল শিক্ষিকা জয়ন্তী চক্রবর্তীকে হত্যা করে
অনলাইন ডেস্ক (সুভাষ সাহা): অবশেষে রহস্য উদঘাটন করা হলো স্কুল শিক্ষিকা জয়ন্তী চক্রবর্তী হত্যাকাণ্ডের। ঘটনার দিন অর্থাৎ ২১শে জুলাই চাঁদপুর শহরের ষোলঘর পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্টাফ কোয়ার্টারে শিক্ষিকা জয়ন্তী চক্রবর্তী তার বাসায় একা ছিলেন। এ সময় ওই এলাকার ডিসের লাইনম্যান জামাল হোসেন ও ডিস লাইনের মালিক আনিছুর রহমান মাদক সেবন করে ডিসের তার ঠিক করার কথা বলে জয়ন্তীর রুমে ঢোকে। ‘তারা দু’জনে জয়ন্তীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এরপর ঘটনা ধামাচাপা দিতে ধারালো ছুরি দিয়ে তাকে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
জয়ন্তী চক্রবর্তী হত্যার তদন্তে নেমে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে অপরাধীদের আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই পুলিশ)। আসামীদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।
এরই মধ্যে জামাল হোসেন পুলিশের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। সেখানে তার সহযোগী হিসেবে আনিছুর রহমানের নামও জানিয়েছে সে।
উল্লেখ্য, চাঁদপুর শহরের ষোলঘর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন জয়ন্তী চক্রবর্তী। আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে, ১৬৪ ধারায় অপরাধ স্বীকার করে জবানবন্দিও দিয়েছে, অতএব দ্রুত বিচারের মাধ্যমে এই চাঞ্চল্যকর নৃশংস হত্যাকান্ডে জড়িতদের এক এবং একমাত্র শাস্তি “ফাঁসি” দাবি করছি। এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করার জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে আন্তরিক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
বিষেরবাঁশি.কম/ডেস্ক/মৌ দাস.
Categories: অপরাধ ও দুর্নীতি,সারাদেশ