শুক্রবার ১৫ চৈত্র, ১৪৩০ ২৯ মার্চ, ২০২৪ শুক্রবার

মডার্ন ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারে ডেঙ্গুর ভুল রিপোর্ট নিয়ে নারায়ণগঞ্জে তোলপাড় (ভিডিওসহ)

অনলাইন ডেস্ক: অল্পের জন্য বেঁচে গেল ১০ মাসের পাপড়ি। সারাদেশ যখন ডেঙ্গু আতঙ্কে বিপর্যস্ত, নারায়ণগঞ্জে পাওয়া গেল মডার্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে চরম দায়িত্বহীনতার অভিযোগ। আমলাপাড়ার বাসিন্দা রণজিৎ সাহার শিশুকন্যা পাপড়ি জ্বরে আক্রান্ত হলে তাকে শিশু বিশেষজ্ঞ ডা.তারেক হাসানের কাছে নিয়ে আসা হয়। তিনি শিশুটিকে ডেঙ্গুর টেস্ট করাতে বলেন। শিশুটির বাবা রবিবার ২৮ জুলাই নারায়ণগঞ্জে মডার্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ১২০০ টাকায় শিশুকে ডেঙ্গুর টেস্ট পরীক্ষা করান। সোমবার ২৯ জুলাই পরিক্ষা রিপোর্ট হাতে পান রাণজিৎ সাহা। রিপোর্টে ডেঙ্গু নেগেটিভ লিখলেও প্লাটিলেট লেখা হয় ৫৯.০০। কিন্তু একজন সুস্থ্য মানুষের স্বাভাবিক প্লাটিলেটের পরিমাপ ১৫০.০ থেকে ৪৫০.০। পরে ডাক্তারের পরামর্শে পরদিন ঢাকার ল্যাবএইড মেডিকেল সেন্টার গুলশান লিঃ এ পুনরায় শিশুটিকে পরীক্ষা করানো হয়। কিন্তু ল্যাবএইডের রিপোর্টে প্লাটিলেটের পরিমাপের ফলাফল আসে ৫৬৬.০০।
মডার্ন ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারে ডেঙ্গুর ভুল রিপোর্ট নিয়ে নারায়ণগঞ্জে তোলপাড়

মডার্ন ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারে ডেঙ্গুর ভুল রিপোর্ট নিয়ে নারায়ণগঞ্জে তোলপাড়

Posted by News 24 bangladesh on Thursday, August 1, 2019
ল্যাবএইড সূত্র জানায়, মডার্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রিপোর্ট সঠিক হয়নি। শিশুর বাবার কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে নিউজ২৪ডটওয়েবসাইট এর পক্ষ থেকে ‘সার্চ টিমের সদস্যরা গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় মডার্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে অনুসন্ধান করেন। সেখানে তারা ম্যানেজার মোঃ সাইফুল্লাহ’র সাথে কথা বলেছেন। তিনি নিউজ২৪ডটওয়েবসাইটের প্রতিনিধির কাছে ভুল রিপোর্টের কথা স্বীকার করেন বলেন, এই ঘটনাটি জানার পর সাথে সাথে হেড অফিসে জানাই এবং সংশ্লিষ্টদের কাছে জবাব চেয়ে তিন দিনের সময় দেয়া হয়েছে বলে জানান। নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক জনাব মোহাম্মদ জসিমউদ্দিন এর সাথে নিউজ২৪ডটওয়েবসাইট এর সম্পাদক সুভাষ সাহা কথা বলেন। জেলাপ্রশাসক বলেন, অভিযোগ করা হলে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার জন্য সিভিল সার্জনকে লিখবেন। সিভিল সার্জেন জনাব ইমতিয়াজ এ প্রতিবেদককে বলেন, অভিযোগ পেলে তিনি ব্যবস্থা নেবেন। পাপড়ির বাবা বলে, মডার্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মতো একটি প্রতিষ্ঠান এই ধরনের ভুল করা খুবই দুঃখজনক। বাবা হিসেবে বলবো, কর্তৃপক্ষ যেন ব্যাপারটা মূল্যয়ণ করে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক হোন, নয়তো অনেক বাবা-মা তাঁদের সন্তানকে হারাবে। পাপড়ির মা বলেন, মর্ডানের মতো একটা প্রতিষ্ঠানে এই ধরনের ভুল মেনে নেয়া যায় না। এই ধরনের ভুল যাতে না হয় সে দিকে কতৃপক্ষের খেয়াল রাখা উচিৎ। বিষেরবাঁশি.কম/ডেস্ক/মৌ দাস.

Categories: অপরাধ ও দুর্নীতি,নারায়ণগঞ্জের খবর

Leave A Reply

Your email address will not be published.