বৃহস্পতিবার ৫ বৈশাখ, ১৪৩১ ১৮ এপ্রিল, ২০২৪ বৃহস্পতিবার

বাল্য বিবাহের ছোবলের হাত থেকে রেহাই পেল ময়না

অনলাইন ডেস্ক: নওগাঁর সাপাহারে বিয়ে বাড়ীতে উপস্থিত হয়ে একটি বাল্য বিয়ে বন্ধ করলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কল্যান চৌধুরী। গতকাল মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বেলা ১১টায় উপজেলার শিরন্টি ইউনিয়নের ভুতকুড়ী গ্রামে গিয়ে তিনি এই বিয়ে বন্ধ করেন। জানা গেছে, ওই গ্রামের জৈনক আতাউর রহমানের স্কুল পড়য়া মেয়ে ময়না খাতুন (১৬) কে মেয়ের অমতে তার মা-বাবা বিয়ে দেয়ার জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন। কথামত সকাল হতেই ওই দিন বাড়ীতে বিয়ের সকল প্রস্তুতি চলতে থাকে। কিন্তুু স্কুল পড়ুয়া মেয়ে ময়না বিয়ে করবেনা বলে সকালেই বিয়েবাড়ীর সকল অনুষ্ঠান ছেড়ে তার স্কুলে চলে আসে। এরই মধ্যে ওই বিয়েবাড়ীর সংবাদ গোপনে পৌঁছে যায় সাপাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার কল্যান চৌধুরীর কাছে। তড়ি ঘড়ি করে নির্বাহী অফিসার পুলিশ ফোর্স সঙ্গে নিয়ে বিয়ে বাড়ীতে চলে যায়। বন্ধ হয় বিয়েবাড়ীর সকল আনুষ্ঠানিকতা নির্বাহী অফিসারের নিকট ওয়াদাবদ্ধ হয় ময়নার মা-বাবা। বাল্য বিয়ের কুফল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা শুনে তারা শপথ করেন আর কিছুতেই তার মেয়ের প্রাপ্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবে না। এর পর নির্বাহী অফিসার ময়নার স্কুল বিন্নাকুড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে এসে ময়নার সাথে কথা বলেন। এসময় বাল্য বিয়ের শিকার ময়না তার মনের কথা জানিয়ে দেয় নির্বাহী অফিসারকে। সে কিছুতেই এই বিয়েতে রাজি ছিল না। তার মা- বাবা তার অমতে তাকে জোর করে বিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ভবিষ্যতে পড়া লেখা শিখে ময়না নিজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে বিয়ে করার ঘোষনা দেন। নির্বাহী অফিসারের উদ্যোগে আজ এই বাল্য বিয়েটি বন্ধ হলো। তিনি সময় মত উপস্থিত না হলে হয়তো ময়নাকে আজ বিয়ের পিড়িঁতে বসতে হত। বয়স না হওয়ার আগেই আবারো যদি ময়নার মা-বাবা তার বিয়ে দেয়ার জন্য আবার চেষ্টা করে তাহলে ময়নার মা-বাবাকে ভ্রাম্যমান আদালতের মুখোমুখি করা হবে বলেও নির্বাহী অফিসার জানিয়ে দেন। বিষেরবাঁশি.কম/ডেস্ক/মৌ দাস.

Categories: অপরাধ ও দুর্নীতি,সারাদেশ

Leave A Reply

Your email address will not be published.