মঙ্গলবার ৫ চৈত্র, ১৪৩০ ১৯ মার্চ, ২০২৪ মঙ্গলবার

বন্দরে স্কুল কমিটির সদস্য আমির হোসেন ভুলুর কান্ড (ভিডিও)

অনলাইন ডেস্ক: বন্দরের হাজী সিরাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্য আমির হোসেন ভুলুর বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, সেচ্ছাচারিতাসহ অশ্লীল আচারণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব অভিযোগ পুরনো হলেও এতোদিন ভয়ে কেউ মুখ খোলেনি! দলীয় প্রভাব খাটিয়ে বিদ্যালয়কে কুক্ষিগত করার হীন চেষ্টার অভিযোগের অন্ত নেই তাঁর বিরুদ্ধে। ক্ষমতাসীন দলের লোক বলে জাহির নিজেকে অনেক ক্ষমতাধর পরিচয়ে স্কুলে প্রতিনিয়ত অশুভ আচারন করতেন। বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে প্রতিদিনই শির্ক্ষাথীদের সামনে ধুমপান করতেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষক জানান,বিদ্যালয়ে ধুমপান বিষয়ে প্রতিবাদ বা কিছু বলতে গিয়ে অনেকে অপদস্ত হয়েছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্কুলের একজন শিক্ষক অভিযোগ করেন, স্কুলে চাকরি করি।চাকরি হারানোর ভয়ে মুখ বুজে সহ্য করেছি। ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মহিউদ্দিন ভাই দীর্ঘদদিন যাবত বিদ্যালয়ের সাথে জড়িত গত বছরের ৯ ই এপ্রিল সভা চলাকালীন সময়ে প্রধান শিক্ষকের রুমে আমির হোসেন ভুলুর বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে কথা উঠালে সভাপতি হুমায়ন কবির মৃধা, সদস্য আলমগীর, শিক্ষক প্রতিনিধি আঃ হালিমের সামনে অপর সদস্য মহিউদ্দিন (৬০) কে মারধর করেন। কিল- ঘুষি মারে ও অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করেন। (প্রমান সিসি ক্যেমেরার ভিডিও)

বন্দরে স্কুল কমিটির সদস্য আমির হোসেন ভুলুর কান্ড। (ভিডিও)প্রেস নোট // বন্দরের হাজী সিরাজ উদ্দিন মেমোঃ উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির তৎসময়ের সদস্য আমির হোসেন ভুলুর বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, সেচ্ছাচারিতাসহ অশ্লীল আচারনের অভিযোগ উঠেছে। দলীয় প্রভাব খাটিয়ে বিদ্যালয়কে কুক্ষিগত করার হীন চেষ্ঠা করতে থাকে। ক্ষমতাসীন দলের লোক বলে নিজেকে জাহিরসহ নিজেকে অনেক ক্ষমতাধর হিসেবে পরিচিত করতে স্কুলে প্রতিনিয়ত অসুভ আচারন করত। বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে প্রতিদিনই শির্ক্ষাথীদের সামনে ধুমপান করত। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষক জানান, বিদ্যালয়ে ধুমপান করার বিষয়ে বলতে গিয়ে তার অশ্লীল কথা সহ্য করতে হয়েছে। কারন এখানে চাকুরি করি। ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মহিউদ্দিন ভাই দীর্ঘদদিন যাবত বিদ্যালয়ের সাথে জড়িত। সভা চলাকালীন সময়ে প্রধান শিক্ষকের রুমে আমির হোসেন ভুলুর বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে কথা উঠলে সভাপতি হুমায়ন কবির মৃধা, সদস্য আলমগীর, শিক্ষক প্রতিনিধি আঃ হালিমের সামনে অপর সদস্য মহিউদ্দিন (৬০) কে মারধর করে। গত বছরের ৯ ই এপ্রিল কিল- ঘুষি মারে ও অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করে। মহিউদ্দিন বাদী হয়ে বন্দর থানায় জিডি নং-৪০০ দায়ের করেন। বিদ্যালয়ের সুনাম রর্ক্ষাথে পরবর্তিতে আর কোন পদক্ষেপ নেননি বলে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও মহানগর আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ন কবির মৃধা জানান। তিনি আরো বলেন, আমির হোসেন ভুলুর আচারন অনেক খারাপ। বিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ শির্ক্ষাথীদের সাথে অসুভ আচারন করত। যে কারনে সভা করে সর্ব সম্মতিক্রমে রেজিলেশন করে ভুলুর বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে দেয়া হয়েছে। শিক্ষা বোর্ড হতে অনুমোধন হয়ে এখনো আসেনি। আর যে বিষয়ে ভুলু আদালতে মামলা করেছে তা কোন শিক্ষিত লোক হলে পারতো না। কারন শিক্ষিত লোকের বিবেক আছে। আমার ও প্রধান শিক্ষক মোঃ হেলাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে যে কথা মামলার আরজিতে প্রকাশ করেছে, তার বিন্দু পরিমান প্রমান করতে পারলে রাজনীতিসহ বিদ্যালয়ের সভাপতির পদ ছেড়ে বন্দর ছেড়ে আজীবনের জন্য চলে যাব। গত ১০ বছর আমি সভাপতির দায়িত্বে। যদি কোন শিক্ষক বা ছাত্ররাও বলতে পারে যে স্কুলের টাকায় এক কাপ চা খাই তাহলে ভুলুর আরজি আমি মেনে নিব। আমার জীবনে একটি সিগারেট সেবন করে দেখিনি। আর ভুলু বিদ্যালয়ে যেভাবে আসতো বা আচারন করত তা ভাষায় প্রকাশ করার মত না। বিদ্যালয়টি বিগত ১০ বছরে সরকারী অনুদান ছাড়া কি পরিমান উন্নয়ন করেছি তা মুখে বলতে হবে না। সকল কিছু দৃশ্যমান। শিক্ষা মন্ত্রণালয় হতে সাড়ে ৪ কোটি টাকায় ভবন করার টন্ডার হয়েছে। ঠিকাদার ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। যে কারনে তার সহ্য হচ্ছে না। স্কুলে প্রবেশ করলে মনে হয় লুটেপুটে খেতে পারবে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক হেলাল উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা আমির হোসেন ভুলুকে ম্যানেজিং কমিটি বাদ দিয়েছে। তাকে এ বিষয়ে রেজিস্ট্রি ডাকে পত্র পাঠানো হয়েছে।উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আ.ক.ম নুরুল আমিন বলেন, একজন নির্বাচিত ম্যানেজিং কমিটির সদস্যকে বাদ দেয়া যায় না। তার ব্যপারে বোর্ডে কাগজ পাঠাতে হয়। বাদ দিলে বোর্ড সিদ্ধান্ত দিবে। আর আমির হোসেন ভুলুর ব্যাপারে অপরাধ মূলক কর্মকান্ড ছিল বলে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আমাকে জানিয়েছে।

Posted by Haje Abdul Khan Baba on Tuesday, July 9, 2019
এ ঘটনায় মহিউদ্দিন সাহেব বাদী হয়ে বন্দর থানায় জিডি নং-৪০০ দায়ের করেন। বিদ্যালয়ের সুনাম রক্ষার্থে পরবর্তিতে আর কোন পদক্ষেপ নেননি বলে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও মহানগর আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ন কবির মৃধা জানিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, আমির হোসেন ভুলুর আচারণ অনেক খারাপ। বিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ শির্ক্ষাথীদের সাথে অশুভ আচারন করতেন। যে কারনে সভা করে সর্ব সম্মতিক্রমে রেজিলেশন করে ভুলুর বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে দেয়া হয়েছে। যা শিক্ষা বোর্ড হতে এখনো অনুমোদন হয়ে আসেনি। প্রধান শিক্ষক মোঃ হেলাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে যে কথা মামলার আরজিতে প্রকাশ করেছে, তা মিথ্যা ও বানোয়াট বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। এ ব্যপারে সভাপতি বলেন,”গত ১০ বছর আমি সভাপতির দায়িত্বে। যদি কোন শিক্ষক বা ছাত্ররাও বলতে পারে যে স্কুলের টাকায় এক কাপ চা খেয়েছি তাহলে ভুলুর আরজি আমি মেনে নিব। আমার জীবনে একটি সিগারেট সেবন করে দেখিনি। আর ভুলু বিদ্যালয়ে যেভাবে আসতো বা আচারণ করত তা ভাষায় প্রকাশ করার মত না। বিদ্যালয়টি বিগত ১০ বছরে সরকারী অনুদান ছাড়া কি পরিমান উন্নয়ন করেছি তা মুখে বলতে হবে না। সকল কিছু দৃশ্যমান। শিক্ষা মন্ত্রণালয় হতে সাড়ে ৪ কোটি টাকায় ভবন করার টেন্ডার হয়েছে। ঠিকাদার ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। যে কারণে তার সহ্য হচ্ছে না। স্কুলে প্রবেশ করলে মনে হয় লুটেপুটে খেতে পারবেন।” স্কুলের প্রধান শিক্ষক হেলাল উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন,আমরা আমির হোসেন ভুলুকে ম্যানেজিং কমিটি থেকে বাদ দিয়েছি। তাকে এ বিষয়ে রেজিস্ট্রি ডাকে পত্র পাঠানো হয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আ.ক.ম নুরুল আমিন বলেন, একজন নির্বাচিত ম্যানেজিং কমিটির সদস্যকে বাদ দেয়া যায় না। তার ব্যপারে বোর্ডে কাগজ পাঠাতে হয়। বাদ দিলে বোর্ড সিদ্ধান্ত দিবে। আর আমির হোসেন ভুলুর ব্যাপারে অপরাধ মূলক কর্মকান্ড ছিল বলে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আমাকে জানিয়েছেন। অভিভাবকরা চান,স্কুলের বিষয়ে প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের অধীনে নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক। বিষেরবাঁশি.কম/ডেস্ক/মৌ দাস.

Categories: অপরাধ ও দুর্নীতি,শিক্ষা

Leave A Reply

Your email address will not be published.