শুক্রবার ১৩ বৈশাখ, ১৪৩১ ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ শুক্রবার

কেউ কথা রাখেননি!  রাখলেন পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ।। রাহুমুক্ত হল নারায়ণগঞ্জের মীরজুমলা সড়ক

বিষেরবাঁশি.কম: দীর্ঘ প্রায় ৩৫ বছর পর নারায়ণগঞ্জ ক্লাব ও দীগবাবু বাজারের মাঝখান দিয়ে ৩০ ফুট চওড়া মীরজুমলা সড়কটি থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে নগরবাসীর দীর্ঘদিনের দাবী পুরন করলেন পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ।

গত ২৭ জুন বৃহস্পতিবার গভীর রাতে পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযান চলে।
সকালে ঘুম ভেঙে নগরবাসী দেখতে পান নতুন এক দৃশ্য! দোকানপাট মুক্ত ফকফকা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন মীরজুলা সড়ক। অনেকে বলছিল,এটা কী আসলেই ময়লা-আবর্জনা ও দুর্গন্ধময় সেই মীরজুমলা সড়ক ?
১৯৭১ সালের বহুকাল পূর্ব থেকে পূর্ব-পশ্চিম মুখী মীরজুমলা সংযোগ সড়ক দিয়ে অবাধে যানবাহন চলাচল করে আসছে।
কিন্তু ১৯৮৫ সালের পর ধীরেধীরে সড়কটির উত্তর পাশে ক্লাবের দেয়ার ঘেঁষে অবৈধভাবে গড়ে উঠে শতশত কাচাপাকা দোকানপাট। ডানপাশে পুরো রাস্তাজুড়ে বসে সবজি বাজার। কয়েকবছরে পুরো রাস্তা গিলে ফেলে দখলদাররা।
চাঁদাবাজ ও প্রশাসনের একশ্রেণীর সুবিধাভোগীদের দৌরাত্মের সঙ্গে পেরে উঠেনি নারায়ণগঞ্জ পৌরসভা থেকে শুরু করে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ।
প্রশাসনের অসহযোগিতার কারণে মেয়র ডা.সেলিনা হায়াৎ আইভীর কোন উদ্যোগই সফলতার মুখ দেখতে পায়নি!
২০০৮ সালের ২৮ অক্টোবর মেয়র আইভীর নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযান পারিচালনার সময় অবৈধ দখলদার ও সুবিধাভোগীদের আক্রমনের মুখে আহত হন সাংবাদিক ও উচ্ছেদকর্মীরা।

দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার ফটোসাংবাদিক হাজী হাবিবুর রহমান শ্যামল গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন অনেকদিন। ইটের আঘাতে শ্যামলের ৩ টি দাঁত ভেঙে যায়। তাঁর চোয়ালে ২১ টি সেলাই লাগে।
এ অভিযানের কিছুদিন পরই সড়কটি আবারো দখলদাররা কব্জা করে নেয়।
হতাশ মেয়র আইভী সম্প্রতি মীরজুমলা সড়কটি অবৈধ দখলমুক্ত করতে বর্তমান পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
অবশেষে ২৭ জুন ২০১৯ বৃহস্পতিবার পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ অত্যন্ত কৌশলে শান্তিপূর্ণভাবে সড়কটি দখলমুক্ত করে মেয়র ডা.সেলিনা হায়াৎ আইভীর ডাকে সাড়া দিয়ে নগরবাসীর দীর্ঘদিনের সেই দাবীটি পুরন করে ভূয়সী প্রশংসা কুড়ালেন।
ইনকিলাব পত্রিকার ফটোসাংবাদিক ও বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশন,নারায়ণগঞ্জ এর সাবেক সভাপতি হাজী হাবিবুর রহমান শ্যামল  বলেন,” মীরজুমলা সড়কটি দখলমুক্ত করায় সুযোগ্য পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ সাহেবকে নারায়ণগঞ্জবাসীর পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
নগরমাতা ডা.সেলিনা হায়াৎ আইভী’র অনেকদিনেে প্রচেষ্টা দীর্ঘদিন পরে সফল হল।
নগরমাতাকেও আন্তরিক অভিনন্দন জানান তিনি।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক তোফাজ্জল হোসেন মুকুল বলেন, পুলিশ সুপার হরুন অর রশিদ এর এই অসামান্য অবদান নারায়ণগঞ্জবাসী কোনদিন ভুলবেনা।

বিষেরবাঁশি.কম/ডেক্স/মৌ দাস

Categories: নারায়ণগঞ্জের খবর

Leave A Reply

Your email address will not be published.