বুধবার ৪ বৈশাখ, ১৪৩১ ১৭ এপ্রিল, ২০২৪ বুধবার

এঁদের বিরুদ্ধে জনমত সোচ্চার করার সময় এসেছে

  • দেবিপ্রসাদ মজুমদার (Deviprasad Mazumder) 

এঁরা হয়তো নিজেরা জানেইনা, Corporate Intelligence নামে একটি discipline নীরবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে। এটা ‘আয়নায় নিজের মুখ’ দেখার মত। অভ্যাস না থাকলে সমূহ বিপদ! লোকে Deface করে দেবে। একমাত্রিক হয়ে ত্রিমাত্রিক ধার
World ভিন্ন, বাকি সবাই এর অস্তিত্ব টের পাচ্ছে। একমাত্র ব্যতিক্রম মোটা বেতনধারী কিছু অর্ধশিক্ষিত তরুণ decision-makers – যাঁরা Ethics, Standard & Norms, ইত্যাদির কোন তোয়াক্কা না করেই Profits বলতে শুধু টাকা বোঝে। মূর্খ অসাধু দোকানদার যেমন লোক ঠকানোকেই তার ব্যবসায়ীক লাভ মনে করে। আমাদের করপোরেটস লগ্নিকারীরা এভাবেই টাকা গুনে লাভ গুনছে। তাঁরা Customers’ Value Creation এবং Value Addition Principles থেকে অনেক দূরে।

নামী দামী প্রতিষ্ঠানগুলি Grameen Bank যখন গ্রাহকের টাকা লুকিয়ে চুরি করে – তখন বিচার দেয়ার মত বিচারিক মিলেনা। কারণ: তাঁদের হাত অনেক লম্বা। কিছু বলে, কিছু করে পাড় পাওয়া যায় না। BRAC-কে 1990s-এ বলা হত ‘ThirdMinistry’. সে তার পজিশনিং, যে করেই হোক, ধরে রেখেছে।

‘সিংহ নাই বনে শিয়ালই রাজা’। সব দিকেই, এ এক, শারগর্বশুন্য মুন্সীয়ানা প্রদর্শণের এক উত্কট প্রতিযোগিতা যেন! কিন্তু, বুঝতে পারিনি আমরা বোকা গ্রাহকরা, at what cost? আজকাল ক্রেতাকে গ্রাহকের আসনে বসিয়ে সেবা দিয়ে যেতে হয়। নিজের খেয়ে এঁদের কে তা বুঝাতে যাবে? ‘আড়ং’ তার জন্ম থেকেইতো তা করে আসছে। ব্রাক যখন মাইক্রোক্রেডিট কারবারে চড়া সুদের ‘শুভংকরের ফাঁকি’র জুয়া, আর গরীবের টাকায় দাদন ব্যবসা করে চলেছে, তখন, ‘উন্নয়নকাজ’ দেখিয়ে বিশ্বজোড়া নাম কিনেছে, পুরস্কার জিতেছে। তাঁদের ঝুলিতে পড়েছে বিশ্বের সব দাতাগোষ্ঠীর অর্থ, সন্মান, যতসব পুরস্কারাদি। ফুলেফেঁপে উঠছে প্রতিষ্ঠানটি। আসলে, পশ্চিমা বিশ্ব দারিদ্র্য বিমোচন কি – তা’ই বুঝেনা। Paradigm Shift-এর সাথে সাথে Structural Adjustment, Good Governance, MDGs > SDGs > Global Goals 2030: Inclusive & Diversity নিয়ে কাজ করতে যেয়ে সরকারের লোকেদের লেজেগোবরে অবস্থা দেখেছি।

কারণ: দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তন না করে অযোগ্য লোকের হাতে রাজ কার্য তুলে দেয়া যা আশির দশক থেকেই দেখে আসছি। তাই, রাজদানকার্য কলঙ্কীত হতে দেখেছি কতগুলো বেহদ্দচোর লুচ্চা ভিখেরী কাংগালের হাতে দানের মত মহতী দায়িত্ব পড়াতে। ‘Right Man in the Right Place’ is a not very common. এখন আর তখন, আমাদের কপাল এমন, ‘আমার আকাশ হয়নাতো নীল | মেঘে মেঘে রয় ছেয়ে’!

সেবামূলক কাজে সরকারী দূর্বলতা – ক্রণিক অমাশয়ের মত। সেই সাথে, অসাধুতা ও অদক্ষতার কারণে যে শূন্যস্থান সৃষ্টি হয়েছে – তা পূরণ করার প্রয়াসে এই রক্তচোষা করপোরেট গোষ্ঠী দেশটাকে, এক অর্থে গিলে খাচ্ছে। পাশাপাশি, স্বাস্থ্য শিক্ষা কৃষি ব্যাংকিং প্রভৃতি প্রায় সব কোড় সেক্টরেই এঁদের বিব্রতকর সরব উপস্থিতি। They are in the foreplay, as always. They try to dictate terms, without knowing the Rules of the Game.

ইদানীং আড়ংযের ক্রেতাকে ঠকিয়ে দ্বিগুণ দাম নিয়ে আমাদের আড়ংধোলাই করছে। করে আসছে। আজ এই কাহিনী প্রকাশ পেয়েছে। কিন্তু অপ্রকাশিত কাহিনীরতো অন্ত নেই। দেশে মোট কয়জন এঁদের প্রলোভনে সাড়া দিয়ে, এঁদের বিশ্বাস করে ‘সাইলক’-এর কাছ থেকে লোন নিয়ে শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যা করেছে, ফকীর হয়েছে, অথবা এঁদের ক্ষপ্পরে পড়ে দিশাহারা হয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। যে নক্সীকাঁথা তাঁরা অতিউচ্চ মূল্যে বিক্রয় করে – একটি অনুসন্ধানে জেনেছি, তার জন্য তাঁদের হস্তশিল্প কারখানায় মহিলাদের মজুরি দিনপ্রতি ২০ টাকা। তখনই, আড়ং-এ তা বিক্রী হতো ২,৫০০ থেকে ৫, ৫০০ টাকা।
এখনতো, কথাই নেই – যে যেমনে পারে।

বিষেরবাঁশী ডেস্ক/সংবাদদাতা/হৃদয়

Categories: অপরাধ ও দুর্নীতি,জাতীয়

Leave A Reply

Your email address will not be published.