বিষেরবাঁশী ডেস্ক: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের মেঘনা নদী দখল করে গড়ে তোলা আব্দুল মোনায়েম গ্রুপের সুগার রিফাইন মিলের ৫শ’ফুট সীমানা প্রাচীর ভেংগে গুঁড়িয়ে দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর কতৃপক্ষ। একই সাথে বৈদ্যেরবাজার এলাকায় নদী দখল করে জাহাজ নির্মান শিল্প সম্প্রসারণ করায় ইউনিক গ্রুপের প্রায় ৭ লক্ষ বর্গফুট ভরাট বালু জব্দ করে নিলামে তুলে ২৯ লক্ষ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে সংস্থাটির ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে ভরাটকৃত জায়গা ভেকু দিয়ে খনন করে নদী দখলমুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। বুধবার সকাল ১০ টায় নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে এবং নারায়নগঞ্জ নদীবন্দরের যুগ্ন-পরিচালক গুলজার আলীর তত্ত্বাবধানে বিআইডব্লিউটিএ তৃতীয় দিনের মতো এ উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের উপ-পরিচালক মো: শহীদুল্লাহ সহ টেকনিক্যাল কর্মকর্তারা। বিআইডব্লিউটিএ’র নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ন-পরিচালক গুলজার আলী বলেন, নদী দপ্তরের অনুমোদন থাকলেও এই দুই শিল্প প্রতিষ্ঠান সরকারি আদেশ ভংগ করে নদীর নির্ধারিত জায়গা দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মান সহ নদীর বিরাট অংশ ভরাট করে ফেলেছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তিনি জানান,নদী দখল করে স্থাপনা নির্মানকারী বসুন্ধরা গ্রুপ, মেঘনা ফ্রেশ গ্রুপ, আমান ইকোনোমিক জোন সহ আরো বেশ কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হবে। গুলজার আলী আরো বলেন, গত শুক্রবার নদী কমিশনের চেয়ারম্যান বিআইডব্লিউটিএ’র নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের কর্মকর্তাদের নিয়ে সরেজমিন মেঘনা নদী পরিদর্শন করে মেঘনা গ্রুপ, বসুন্ধরা গ্রুপ, আমান ইকোনোমিক জোন, ইউনিক গ্রুপ, আল মোস্তফা গ্রুপের পলিমার ইন্ড্রাষ্ট্রিজসহ বেশ কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠানে নদী দখলের প্রমান পেয়েছেন। তারই আলোকে এ অভিযান চালানো হচ্ছে। সিংক: মো: গুলজার আলী: যুগ্ন-পরিচালক, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর। বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নদীর নির্ধারিত সসীমানার অভ্যন্তরে যেসসব শিল্প প্রতিষ্ঠান অবৈধভাবে নদী দখল করেছে, উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। মেঘনা নদীতে আরো দুই দিন অভিযান চালিয়ে ছয়দিন ব্যাপী এই উচ্ছেদ অভিযান সমাপ্ত করা হবে। সিংক: মো: মোস্তাফিজুর রহমান: নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট, বিআইডব্লিউটিএ। এর আগে গতকাল মংগলবার বৈদ্যেরবাজার এলাকায় মেঘনা নদীর পশ্চিম তীর দখল করে গড়ে তোলা আল মোস্তফা গ্রুপের ৪ তলা ভবন গুড়িয়ে দেয় বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর কর্তৃপক্ষ। এছাড়া নদী দখল করে ডকইয়ার্ড সম্প্রসারণ করায় ইউরো মেরিনশিপ বিল্ডার্স নামের জাহাজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়।
বিষেরবাঁশী ডেস্ক/টিএস/হৃদয়