মঙ্গলবার ৫ চৈত্র, ১৪৩০ ১৯ মার্চ, ২০২৪ মঙ্গলবার

প্রধানমন্ত্রীর সাহায্যে স্বাভাবিক জীবনে ফিরলেন আকবর, ফিরবেন গানেও

বিষেরবাঁশী ডেস্ক: গুরুতর অসুস্থতা নিয়ে প্রায় ১ মাস বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (পিজি হাসপাতাল) ভর্তি ছিলেন ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র মঞ্চে গান গেয়ে সারাদেশে ব্যাপক পরিচিতি পাওয়া কণ্ঠশিল্পী আকবর। কিডনিসহ একাধিক রোগে ভুগছিলেন তিনি। ঠিকমত খেতে ও কথা বলতে পারতেন না। বিছানায় পড়ে থাকতেন।

এ অবস্থায় চরমভাবে আর্থিক সংকটে পড়েন ‘তোমার হাত পাখার বাতাসে’ গান গেয়ে জনপ্রিয়তা পাওয়া এ শিল্পী। উপায় না পেয়ে তখন আকবর তার চিকিৎসা সহায়তায় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

আকবরের ডাকে সাড়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩ ফেব্রুয়ারি তার চিকিৎসায় ২২ লাখ টাকা দেন। ওই টাকায় চিকিৎসা নিয়ে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠেছেন গায়ক আকবর।

আকবর বলেন, আমি এখন মোটামুটি সুস্থ। হাঁটাচলা করতে পারছি, খেতে পারি। সবকিছু একাই করতে পারি। ১৩ ফেব্রুয়ারি হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় ফিরেছি।

পরদিন টাঙ্গাইলের পাহাড় সখিপুর এলাকায় ভালোবাসা দিবসের একটি কনসার্টে অংশ নিয়েছি। এখন থেকে আবার নিয়মিত গাইবো। অসুস্থতার কারণে কয়েকমাস গান-বাজনা থেকে দূরে ছিলাম। আমার সুস্থতা কামনায় যারা দোয়া করেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করতে চাইনা।

আকবর বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ‘আমি মা ডেকেছি’। তিনি ২২ লাখ টাকা দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন। ২ লাখ টাকার চেক ও ২০ লাখ টাকা সঞ্চয়ী পত্র করে দিয়েছেন। সেখান থেকে তিনমাস পরপর ৫১ হাজার করে টাকা পাবো চিকিৎসার জন্য।

তার নির্দেশ মতো চিকিৎসকরা আমাকে যত্নের সাথে চিকিৎসা নিয়েছেন। যতদিন বাঁচবো প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবো। পাশপাশি আমার হানিফ সংকেত স্যারের অবদানও কম নয়। তিনি আমার অভিভাবক হিসেবে সাথে থেকেছেন সবসময়।

আকবর জানান, তার পুরোপুরি সুস্থ হতে আরো সময় লাগবে। প্রতি সপ্তাহে পিজি হাসপাতাল থেকে চর্ম, কিডনি, মেডিসিন এই বিভাগ থেকেই চেকআপ নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে পিজি হাসপাতালের প্রধানের কাছে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে।

সেখানে বলা হয়েছে, আকবরের চিকিৎসার জন্য যা যা খরচ হবে, পিজি হাসপাতাল বহন করবে। তিনি সেভাবেই চিকিৎসা নেবেন। আকবর বলেন, চেষ্টা করছি আগের মতো গান করার। সবার কাছে দোয়া চাচ্ছি।

বিষেরবাঁশী ডেস্ক/সংবাদদাতা/হৃদয়

Categories: সারাদেশ

Leave A Reply

Your email address will not be published.