বৃহস্পতিবার ১৪ চৈত্র, ১৪৩০ ২৮ মার্চ, ২০২৪ বৃহস্পতিবার

এবারের ইজতেমা ৪ দিন

 

অনলাইন ডেস্ক: একপর্বে, আলাদা ব্যবস্থাপনায় বিশ্ব ইজতেমা আয়োজন করতে সম্মত হয়েছেন মাওলানা সাদ-জুবায়েরপন্থীরা। সেক্ষেত্রে ১৫ ফেব্রুয়ারি শুরুর দিনক্ষণ ঠিক রেখে আরও একদিন বাড়িয়ে চারদিন করা হয়েছে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা।

প্রথম দুদিন অর্থাৎ ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি মাওলানা জুবায়েরপন্থীরা এবং ১৭ ও ১৮ এই দুদিন মাওলানা সাদপন্থীরা তুরাগ তীরে বিশ্ব সম্মেলনে আলাদাভাবে ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকবেন।

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেন। এর আগে সাদপন্থীদের পক্ষে মাওলানা সৈয়দ ওয়াসিফ ইসলাম এবং অন্যপক্ষ মাওলানা জুবায়ের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব ইজতেমা একদিন বাড়িয়ে চারদিন করা হয়েছে। প্রথম দুদিন মাওলানা জুবায়ের ও পরের দুদিন সৈয়দ ওয়াসিফ ইসলামের ব্যবস্থাপনায় ইজতেমা হবে। আখেরি মোনাজাত কে পরিচালনা করবেন, সে সিদ্ধান্ত তাবলিগের মুরুব্বিরা ঠিক করবেন। তবে মাওলানা সাদ আসছেন না বলে আগেকার সিদ্ধান্ত বহাল আছে বলেও জানান মন্ত্রী।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে মাওলানা জুবায়ের আহমেদ ও মাওলানা মোহাম্মদ কান্ধলভি সাদপন্থীদের নিয়ে একাধিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এর ধারাবাহিকতায় গত ২৪ জানুয়ারি বৈঠকে উভয়পক্ষ একপর্বের, ঐক্যবদ্ধ ইজতেমা আয়োজনে সম্মত হন। তবে একপর্বের ইজতেমা ঘোষণার পর ‘আখেরি মোনাজাতে দু’আ করার মুরব্বি, ৫৪টি নজমের (সেবা সার্ভিস) জিম্মাদার, খিত্তার আমির কে হবেন‘ সেসব বিষয়ে নতুন করে সাদ-জুবায়েরপন্থীদের মধ্যে রেষারেষি শুরু হয়। এতে সরকারি চাপকেও উপেক্ষা করে আসছিল দুটি পক্ষ।

বিশেষ করে সাদপন্থীরা ঐক্যবদ্ধ ইজতেমায় সহিংসতার আশঙ্কা প্রকাশ করে। এই অবস্থায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানো ও দ্বন্দ্ব মেটাতেই আলাদাভাবে দুই পক্ষের ব্যবস্থাপনায় ইজতেমা করতে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী এই সিদ্ধান্ত নেন। আলাদা ব্যবস্থাপনায় নজমের জিম্মাদার, খিত্তার আমিরের বিষয়ে জটিলতা কাটলো। তবে আখেরি মোনাজাতের দু’আ করার মুরব্বি নিয়োগে প্রয়োজনে সরকারের প্রতিনিধিরা মধ্যস্থতা করবেন।

মাওলানা সাদ’র ‘বিতর্কিত’ বক্তব্যর জেরে গত বছর তাবলিগ-জামাতে দুটি পক্ষ সৃষ্টি হয়। বিরোধের মুখে গত জানুয়ারি টঙ্গীতে সম্ভাব্য ইজতেমা স্থগিতের ঘোষণা দেয় সরকার। তা উপেক্ষা করে টঙ্গীর মাঠ দখল নিয়ে গত ১ ডিসেম্বর দুই পক্ষের সংর্ঘষে একবৃদ্ধ নিহতসহ দুই শতাধিক মানুষ আহত হন। বিরোধ মেটাতে গত ২৩ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে উভয়পক্ষ একে অপরকে জড়িয়ে কেঁদে ফেলেন। অতীত ভুলে একসঙ্গে কাজ করার প্রতিজ্ঞা করেন। তবে সরকারের উদ্যোগে আপোষ-মীমাংসার কথা বলা হলেও উপরোক্ত বিষয়ে তাদের মধ্যে অনৈক্য ছিল।

 

বিষেরবাঁশী.কম/ডেস্ক/নিঃতঃ

Categories: সারাদেশ

Leave A Reply

Your email address will not be published.