অনলাইন ডেস্ক: এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আজ শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে। এবার মোট ২১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৩৩ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবে। পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে দেশের ৩ হাজার ৪৯৭টি কেন্দ্রে। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রাজধানীসহ সারাদেশে কাজ করছে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।
এবারও বাংলা দ্বিতীয় পত্র এবং ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র ছাড়া অন্য সব বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা হবে। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই, এমন পরীক্ষার্থীরা শ্রুতিলেখক সঙ্গে নিতে পারবে। তাদের ২০ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হবে। আর অটিস্টিক ও ডাউন সিনড্রোম প্রতিবন্ধীরা অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময়ের পাশাপাশি শিক্ষক, অভিভাবক বা সাহায্যকারীর বিশেষ সহায়তায় পরীক্ষা দিতে পারবে।
পরীক্ষা উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, এবার প্রশ্ন ফাঁস হবে না। গত বছর পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের কোনো অভিযোগ আসেনি। তাই গত বছর যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল, সেগুলো এবার আরও জোরদার করা হয়েছে।
জানা গেছে, এ বছর পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীকে অবশ্যই পরীক্ষাকক্ষে তার জন্য নির্ধারিত আসনে বসতে হবে। পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে এসএমএসের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রশ্নপত্রের সেট কোড জানিয়ে দেওয়া হবে। শুধু কেন্দ্র সচিব একটি সাধারণ ফোন ব্যবহার করতে পারবেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এবার শুধু এসএসসিতে ১৭ লাখ ৪০ হাজার ৯৩৭ পরীক্ষার্থী অংশ নেবে। তবে এই ব্যাচ ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে যখন নবম শ্রেণিতে পড়ত তখন নিবন্ধন করেছিল ২২ লাখ ৮৮ হাজার ৩২৩ জন। অর্থাৎ পরীক্ষায় বসছে না নিবন্ধনকারী ৫ লাখ ৪৭ হাজার ৩৮৬ শিক্ষার্থী।
এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগে টেস্ট পরীক্ষায় যারা তিন-চার বিষয়ে ফেল করত, তাদেরও পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হতো। কিন্তু কয়েক বছর ধরেই বলা হচ্ছিল, টেস্টে যারা পাস করবে না তাদের যেন কেন্দ্রে পাঠানো না হয়। এটা ড্রপ আউট না।
বিষেরবাঁশী.কম/ডেস্ক/নিঃতঃ