বিষেরবাঁশী ডেস্ক: এক ডজন মামলার আসামী ফতুল্লার দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী মীর হোসেন মীরুকে আদালতে আদালতে হাজির করা হয়েছে।
সোমবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে তাকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়। তবে আদালত তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এরআগে মীরুকে আদালতে আনা হলে এজলাসে যাওয়ার আগ পর্যন্ত কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে রাখেন মীরু। এদিকে মীরুকে আদালতে তোলার পর এজলাসের বাহিরে মহানগর আওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতাদের উপস্থিতিতে নানা গুঞ্জন উঠে আদালতপাড়ায়। কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক হাবিুবুর রহমান জানান, মারামারির একটি মামলায় মীরুকে আদালতে নিয়ে আসা হয়েছিলো।
গতকাল (২০ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে পাগলার নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পুলিশ। মীরু ফতুল্লার কুতুবপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক। সোমবার মারামারির একটি মামলায় তাকে আদালতে তোলা হয়।
মাদক ও জুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ, জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) নূরে আলম। সম্প্রতি মীরু ও তার বাহিনীর কারণে ফতুল্লা শিল্পাঞ্চল অশান্ত হয়ে উঠেছে। মীরু ও তার বাহিনীর হাতে প্রচুর অবৈধ অস্ত্র রয়েছে বলে পুলিশের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য রয়েছে। ওইসব অস্ত্র উদ্ধারের জন্যই পুলিশ তাকে আটক করেছে। তাছাড়া গত ৩ দিন আগে এক ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে মারধর করে মীরু ও তার বাহিনীর সদস্যরা ২ লাখ টাকা আদায় করেছিল। এ বিষয়েও ফতুল্লা মডেল থানায় অভিযোগ রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম সংসদ নির্বাচনের পর প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীদের গুলিতে মীরু কোমড়ে গুলিবিদ্ধ হয়। এরপরেই মূলত সে পঙ্গুত্ব বরণ করে।
কিন্তু পঙ্গুত্ব বরণ করলেও মীরু হুইল চেয়ারে বসেই ফতুল্লার অপরাধ জগৎ নিয়ন্ত্রণ করতে থাকে। এজন্য মীরুর রয়েছে একটি বিশাল সশস্ত্র বাহিনী। ২০১৬ সালে মীরুর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ থানায় জমা পড়লে পুলিশ তাকে হুইল চেয়ারসহই গ্রেফতার করেছিল।
বিষেরবাঁশী ডেস্ক/সংবাদদাতা/হৃদয়