- অনলাইন ডেস্ক
হাইওয়ে পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মিজানুর রহমান তালুকদারকে পাঁচ জনে মিলে হত্যা করেছে। হত্যাকারী সবাই ছিনতাইকারী। একই চক্রের সদস্য। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ও মিরপুর জোন পুলিশের তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে ।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, এএসপি মিজান হত্যার ধরণ দেখে এর কারণ উদঘাটনের চেষ্টা চালান গোয়েন্দারা। এছাড়া নিহত পুলিশ কর্মকর্তার সম্পদের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়েও তদন্ত শুরু করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থা। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক বিষয়েও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা।
নাম-পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা মহানগর পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, মিজান হত্যার দুই সপ্তাহ পর তদন্তের এক পর্যায়ে ছিনতাইকারীদের সিন্ডিকেট শনাক্ত হয়েছে। পাঁচ সদস্যের ওই সিন্ডিকেটের বেশিরভাগ সদস্যের পরিচয় ও অবস্থান জানতে পেরেছেন গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তারা। এখন তাদের গ্রেফতারের জন্য রাজধানী ঢাকা ও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক টিম।
তদন্ত কাজের তদারকি কর্মকর্তা ও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার গোলাম মোস্তফা রাসেল আগেই জানিয়েছিলেন, ‘এএসপি মিজানুর রহমান হত্যার তদন্তে গোয়েন্দা পুলিশের ছয়টি টিম বিভিন্ন বিষয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছে।’
উল্লেখ্য,গত ২১ জুন রাজধানীর রূপনগর থানার মিরপুর বেড়িবাঁধের বোটক্লাব এলাকার রাস্তার পাশে ঝোঁপের ভেতর থেকে এএসপি মিজানুর রহমান তালুকদারের (৫০) লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে হত্যায় ব্যবহৃত একটি ঝুট কাপড়সহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করে সিআইডির ক্রাইমসিন টিম। ওইদিন ভোরে এএসপি মিজান রাজধানীর উত্তরার বাসা থেকে বের হয়েছিলেন।
হত্যার পর এএসপি মিজানুর রহমান তালুকদারের ভাই মাসুম তালুকদার বাদী হয়ে রাজধানীর রূপনগর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি তদন্তের ভার ন্যস্ত হয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওপরে।
ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত থেকে আগামী ৩০ জুলাই এ হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশনা রয়েছে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক প্রদীপ বিশ্বাস বলেন, ‘এএসপি মিজানের শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তার গলার চারপাশে একটা গোল কালো দাগ ছিল। মাথায়, বাম হাতে ও দু’পায়ে লাঠি বা শক্ত কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়। তার দুই গাল ও বুকের ওপরের অংশে আঘাতের চিহ্ন ছিল। যেসব জায়গায় আঘাত করা হয়েছে, সেখানে রক্ত জমে গিয়েছিল।’
সাভার হাইওয়ে থানার পরিদর্শক জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এএসপি মিজানুর রহমান গোড়াই হাইওয়ে, গোলোড়া হাইওয়ে ও সাভার হাইওয়ে থানার তদারকি কর্মকর্তা ছিলেন। এছাড়া তিনি বয়ংগাইল হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বেও ছিলেন । -বাংলা ট্রিবিউন
ডেস্ক/ক্যানি