শনিবার ৭ বৈশাখ, ১৪৩১ ২০ এপ্রিল, ২০২৪ শনিবার

খোকাকে ছাড় না দিতে বদ্ধপরিকর কায়সার, একাট্টা আ.লীগ

বিষেরবাঁশী ডেস্ক: কায়সার হাসনাত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ (সোনারগাঁ)-৩ আসনে আওয়ামী লীগের এমপি। ২০১৪ সালে তাকে বসিয়ে দিয়ে এখানে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিলো জাপার লিয়াকত হোসেন খোকাকে। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। তবে, এবার আর ছাড় দিতে নারাজ আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তথা দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচনী মাঠে রয়ে গেছেন। আওয়ামী লীগের তৃণমূলদের নিয়েই তিনি নেমেছেন ভোটের মাঠে। তবে, শেষতক তিনি দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করবেন কিনা, সেটিই এখনও প্রশ্ন সবার। যদিও কায়সার জানিয়েছেন, তিনি শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে থাকবেন। এবং এবারের নির্বাচনে জয়ীও হবেন।

এদিকে জাতীয় পার্টি থেকে লিয়াকত হোসেন খোকাকে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে মনোনয়ন দেওয়া হলেও এখনও পর্যন্ত মহাজোট থেকে চূড়ান্ত ঘোষণা আসেনি। আবার এই আসনে আওয়ামী লীগ থেকে একাধিক ব্যক্তি মনোনয়ন প্রত্যাশা করলেও কাউকেই শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চিঠি দেওয়া হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে খোকাই যে মহাজোটের প্রার্থী তা মেনে নিচ্ছেন অনেকেই। কিন্তু আওয়ামী লীগের বৃহত্তর একটি অংশ তা এখনও মেনে নিতে পারছে না।

সূত্র বলছে, লিয়াতক হোসেন খোকাকে যারা মেনে নিতে পারছেন না সেই তারাই নেমেছেন কায়সার হাসনাতের পক্ষে। এবং এরাই খোকাকে পরাজিত করে এই আসনটি নৌকা প্রতীকে ঘাঁটি হিসেবে প্রমাণ করতে মরিয়া। অনেকে এমনও বলছেন, সোনারগাঁয়ে খোকার কোনো ভোট ব্যাঙ্ক নেই। এমনকি তিনি ২০১৪ সালে বিনা ভোটেই নির্বাচিত এমপি হয়েছেন। সে নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ ছিলো না। যার ফলে এই সুযোগে তিনি সংসদ সদস্য হয়ে যান। কিন্তু এবার আর খালি মাঠে তাকে গোল দিতে দেওয়া হবে না বলেই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ স্থানীয় আওয়ামী লীগ।

স্থানীয়দের মতে, এখানে ধানের শীষের প্রার্থী থাকবে আজহারুর ইসলাম মান্নান, লাঙল নিয়ে নামবেন লিয়াকত হোসেন খোকা আর আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি কায়সার হাসনাত নামবেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। ফলে লড়াইটা ত্রিমুখী দেখা গেলেও মূল লড়াইটা হবে মান্নানের সাথে কায়সারের। এখানে খোকাকে সেভাবে কেউই কাউন্ট করছেন না।স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, এবারের নির্বাচনে হয় মান্নান নয়তো কায়সার, এই দুজনের যে কোনো একজনই হবেন নির্বাচিত। লড়াইটা তাদের মধ্যেই হবে। সোনারগাঁয়ের মুষ্টিমেয় কয়েকজন ছাড়া আর কোনো মানুষই লিয়াকত হোসেন খোকার পক্ষে মাঠে নামবে না। এমনকি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও না।

তারা বলছেন, এবারের নির্বাচনে কায়সারের পক্ষে স্থানীয় আওয়ামী লীগ একাট্টা। তারা যে কোনো মূল্যে এখানে কায়সার হাসনাতকেই নির্বাচিত করতে বদ্ধপরিকর। তবে, শেষতক দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কায়সার হাসনাত ভোটের মাঠে টিকে থাকবেন কিনা, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

বিষেরবাঁশী ডেস্ক/সংবাদদাতা/ইলিয়াছ

Categories: রাজনীতি

Leave A Reply

Your email address will not be published.