শুক্রবার ৬ বৈশাখ, ১৪৩১ ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ শুক্রবার

৪৭ দফা সময় চেয়েও তদন্ত রিপোর্ট দাখিল সম্ভব হয়নি

৪৭ দফা সময় চেয়েও তদন্ত রিপোর্ট দাখিল সম্ভব হয়নি

বিষেরবাঁশী ডেস্ক: সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ফের পিছিয়েছে। ৪৭ তম বার সময় নিয়েও তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুনরায় সময় চান তিনি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল রবিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট খুরশিদ আলম আগামী ২৬ জুলাই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুনরায় দিন ধার্য করে দেন।

এর আগে গত ২১ মার্চ এই প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। ওইদিনও প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় ১১ জুন পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছিল। কিন্তু মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাবের সহকারী পরিচালক এএসপি মহিউদ্দিন আহমেদ প্রতিবেদন দাখিল না করে পুনরায় সময় প্রার্থনা করেন। আদালত ওই সময় মঞ্জুর করে।

মামলার নথি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত ৫ বছর ৪ মাসে এ নিয়ে ৪৭ বারের মতো প্রতিবেদন দাখিল পেছাল। মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে সশরীরে তলব করে মামলার অগ্রগতি জানতে চেয়েছে আদালত। দীর্ঘসূত্রতায় বিচার বিলম্বিত হচ্ছে উল্লেখ করে দ্রুত চার্জশিট দাখিলের তাগাদাও দিয়েছেন। তবু মামলার তদন্তে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ৫৮/এ/২, রশিদ লজ অ্যাপার্টমেন্টের ৫ম তলার ফ্ল্যাটে ‘মাছরাঙা’ টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারওয়ার ও এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন রুনির ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় রুনির ছোটভাই নওশের আলম রোমান বাদী হয়ে শেরে বাংলানগর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি বর্তমানে উচ্চ আদালতের নির্দেশে র্যাব তদন্ত করছে।

২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না করে আদালতে একটি অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, এই মামলায় ইতিমধ্যে ১৫৮ জন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া গেছে যা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। ২৭ জন ইলেকট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। মামলার ঘটনাস্থল থেকে চুরি যাওয়া ল্যাপটপ উদ্ধারে বিটিআরসি ও ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সহায়তা চাওয়া হয়েছে। আদালতও ল্যাপটপ উদ্ধারে বিটিআরসিকে সহায়তার নির্দেশ দেয়। আদালত তার আদেশে উল্লেখ করে, মামলার ঘটনা স্পর্শকাতর ও চাঞ্চল্যকর। এছাড়া দীর্ঘদিন মামলা তদন্তাধীন থাকায় বিচার বিলম্বিত হচ্ছে।

সাগর-রুনি দম্পতির ফ্ল্যাট থেকে চুরি হওয়া ল্যাপটপ এখনও উদ্ধার করতে পারেনি র্যাব। সাগর-রুনির ফ্ল্যাট থেকে খোয়া যাওয়া দুইটি ল্যাপটপ এখন র্যাব সন্ধান করছে। সাগর-রুনির পারিবারিক সূত্র জানায়, ঘটনার সময় ঐ ফ্ল্যাট থেকে দুটি ল্যাপটপ খোয়া যায়। একটি ল্যাপটপে সাগর সারওয়ার দৈনিক ইত্তেফাকে কর্মরত অবস্থায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক ‘কর্নেলকে আমি মনে রেখেছি’ বইটি লিখেছিলেন। এই বইটি ২০১১ সালে একুশে বই মেলায় প্রকাশিত হয়। ঐ ল্যাপটপে দ্বিতীয় কিস্তিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক আরো একটি গ্রন্থের অর্ধেকের বেশি অংশের পান্ডুলিপি লেখা হয়েছিল।

বিষেরবাঁশী ডেস্ক/সংবাদদাতা/হৃদয়

Categories: সারাদেশ

Leave A Reply

Your email address will not be published.