অমানবিক!
বিষেরবাঁশী ডটকমঃ নারাণগঞ্জে সোনারগাঁয় এক ব্যবসায়ীকে রাতের আধারে বাড়ি থেকে ধরে এনে থানায় আটকে রেখে শাররিক নির্যাতন ও ক্রস ফায়ারের ভয় দেখিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাদাঁ দাবির অভিযোগে সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি ) মোরর্শেদ আলম ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাধন বসাকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। আজ বৃহস্প্রতিবার দুপুরে নির্যাতিত ঠিকাদার ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম স্বপন বাদি হয়ে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আশোক কুমার দত্তের আদালতে এই মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে জেলা পুলিশ সুপারকে তদন্ত করে প্রতিবেদন আদলতে দাখিলের নির্দেশ দেন। আদালত বলেন, সহকারি পুলিশ সুপার পদমর্যার নিচে নয় এমন কর্মকতার্কে দিয়ে তদন্ত করতে হবে।
মামলায় বাদি অভিযোগ করেন, সোনারগাঁ উপজেলার দত্তপাড়া এলাকায় তার ক্রয়কৃত প্রায় ১০ কোটি টাকা মুল্যে (দেড় একর ভূমি) জমি নিয়ে একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠা সামিট ফয়েলস পলিমার লিমিটের মালিকের সাথে বিরোধ রয়েছে। এই বিরোধ নিয়ে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার অফিসে মামলা চলমান রয়েছে। চলতি বছরের ২৬ ফেব্রƒয়ারী জমিটি বায়না সুত্রে মালিক হয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে তিনি বসাবাস করে আসছিলেন। এই জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে সামিট ফয়েলস পলিমার লিমিটেডের পরিচালক জাফর ইকবালের কাছ থেকে আর্থিক ভাবে ভালে লাভমান হয়ে আদালতের মামলা তোয়াক্কা না করে জমিটি ওই শিল্প্রপ্রতিষ্ঠানের দখলে দেয়ার জন্য আমাকে গ্রেফতার করে। মামলায় তিনি আরো অভিযোগ করেন, গত রবিবার (৭ অক্টোবর) মধ্য রাতে সোনারগাঁ থানার ওসি মোরশেদ আলম ও এসআই সাধান বসাকেন নেতৃত্বে একদল পুলিশ তার বাড়িতে হানা দেয়। পুলিশ তার হাত পা ও চোখ বেধেঁ বাড়ি থেকে তুলে থানায় নিয়ে এসে একটি রুমের মধ্যে আটকে রেখে শাররীক নির্যাতন চালায়। এসময় ওসি মোর্শেদ আলম ও এস আই সাধান বসাক জমিটি ছেড়ে না দিলে তাকে ক্রস ফায়ারে হত্যার হুমকি দেয়। ক্রস ফায়ার থেকে বাচতে হলে ৫০ লাখ টাকার চাদাঁ দাবি করে । ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম ওসি এ প্রস্তাবে রাজি না হলে তাকে রুমের ফ্যানের সাথে ঝুরিয়ে বেধম প্রহার করা হয়। তিনি জ্ঞান হায়িয়ে ফেললে পুলিশ তাকে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করিয়ে পুনরায় থানায় এনে আবারও নির্যাতন করা হয় বলে তিনি উল্লেখ করেন। এসময় এসআই সাধন বসাক মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে সম্মত্তির দখল না ছাড় গুলি করে ক্রসফায়ারে হত্যা করা হবে বলে ভয়ভীতি দেখায় । ওসি বলে, ৫০ লাখ টাকা চাদাঁ দিতে হবে। চাদাঁ না দিলে সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, হত্যা, চাদাঁবাজি, ছিনতাই, ধর্ষনের মাললা দিয়ে পাগল বানাইয়ে দেয়া হবে । পরের দিন বিকেলে স্থাণীয় উপজেলা যুবলীগের সভাপতির রফিকুল ইসলাম নান্নুসহ স্থাণীয় লোকজন থানায় গেলে একটি সাদা কাগজে মুচলেকা নিয়ে যুবলগি সভাপতির জিন্মায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। পরে তার শাররিক অবস্থার অবনতি হলে সোমবার ( ৮ অক্টোবর) রাতে তিনি নারায়ণগঞ্জের তিনশ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা করান।
মামলার বাদির আইনজীবি এ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মনির হোসেন জানান, নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশোক কুমার দত্ত মামলাটি আমালে নিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুৃপার কে তদন্ত করে আগামী ১২ ডিসেম্বরর মধ্যে আদালতে প্রতিবেদনর দাখিলে নির্দেশ দেন । তিনি বলেন, আদালত তার নির্দেশনায় বলেন, সহকারি পুলিশ সুপার (এসএসপি) পদ মর্যাদার নিচে নয় এমন একজন কর্মকর্তারা দ্বারা বিস্তারিত তদন্ত করতে হবে। আদালত তার আদেশে মামলার বাদিকে নির্যাতন করা হয়েছে কিনা? উপজেরা স্বস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়েছে কিনা? বাদির জ্ঞান ফিরলে নির্যাতন করা হয়েছে কিনা? এবং ৫০ লাখ টাকা চাদাঁ দাবি করা হয়েছে কিনা তা বিস্তারিত তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম ব্যবসায়ীকে জাহিদুল ইসলাম স্বপনকে ক্রসফায়ারে ভয় দেখিয়ে চাদাঁ দাবি ও শাররিক নির্যাতনের অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন,বিরোধপূর্ণ ওই জমি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ১৪৪ জারি রয়েছে। এক পক্ষ ্ওই জমিটি দখলে রেখেছিলো। তাকে গ্রেফতার আনার সময় পড়ে গিয়ে সে আহত হয়েছে। তাকে কোন শাররিক নির্যাতন করা হয়নি। পড়ে গিয়ে ব্যাথা পাওয়া তাকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
নারায়ণগঞ্জে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন ব্যবসায়ী জাহিদুল ইাসলাম স্বপন সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোরশেদ আলম ও এস আই সাধন বসাকের বিরুদ্ধে আমালী আদালতে মামলা দায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সহকারি পুলিশ সুপারের নিচে নয় এমন একজন কর্মকর্তাকে দিয়ে তদন্ত করে আগামী ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, আদালতে মামলা হওয়ার পরই নির্দেশনা পেয়েছি। এর আগে আমাদের কাছে অভিযোগটি আসেনি। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে আাদালতের প্রতিবেদন দাখিলের পাশাপাশি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সূত্র; নারায়ণগঞ্জের খবর
বিষেরবাঁশী.কম/ডেস্ক/নিঃতঃ