শুক্রবার ১৫ চৈত্র, ১৪৩০ ২৯ মার্চ, ২০২৪ শুক্রবার

‘মায়ের গায়ে হাত তোলায় স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়েছি’

অনলাইন ডেস্ক: জাতীয় দলের ক্রিকেটার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের বিরুদ্ধে ১০ লাখ টাকার যৌতুক ও শারীরিকভাবে নির্যাতনের অভিযোগ এনে মামলা করেছেন তার স্ত্রী শারমিন সামিরা।

রবিবার বিকেলে ময়মনসিংহে অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মামলাটি আমলে নেন। মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. রেজাউল করিম খান দুলালও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ বিষয়ে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘বিয়ের পর থেকেই ও আমাকে আলাদা সংসার গড়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। কিন্তু আমার বাবা নেই, যে মায়ের কারণে আমি আজ ক্রিকেটার। সেই মাকে ছেড়ে কিভাবে আলাদা থাকি? এটা আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না। আমি ওকে এটা নিয়ে অনেক বুঝিয়েছি।’

সৈকত আরও বলেন, ‘আমি যখন খেলার কারণে ট্যুরে থাকতাম তখন ও আমার মার সঙ্গে ঝগড়া করত। মাকে একাধিকবার মেরেছেও। এসব কারণে আমি গত ১৬ আগস্ট তাকে কোর্টের মাধ্যমে ডিভোর্স দেই।’

স্ত্রীর যৌতুকের অভিযোগ নিয়ে এ ক্রিকেটার বলেন, ‘দেখেন ওকে আমি গত ১৬ আগস্ট তালাক দিয়েছি। তার আগে ও কিন্তু আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করেনি। তালাক দেয়ার পর ও নাটক শুরু করেছে। আমার ক্যারিয়ার ধ্বংসের চক্রান্ত করছে।

মোসাদ্দেক আরও বলেন, ‘আমি মনে করি যে এত খারাপ সময় আমার আসেনি যে যৌতুক নিয়ে আমার চলতে হবে। আমি শুনেছি যে ডিভোর্স দিলে নাকি এমন নারী নির্যাতন বা যৌতুকের একটা মামলা করা হয়। তারাও হয়তো তাই করেছে।’

তবে সৈকতের স্ত্রী সামিয়া শারমিন গণমাধ্যমকে জানান, সৈকতের দুর্দিনে আমি তার পাশে ছিলাম। তার অর্থ-খ্যাতি হওয়ার পর সে আমার সাথে বাজে ব্যবহার শুরু করে। মানসিক নির্যাতনের পাশাপাশি শারীরিক নির্যাতনও শুরু করে। এপ্রিলে আমি কনসিভ করি। রোজার ঈদের আগে আমার বাচ্চাটা নষ্ট হয়ে যায়। ঈদে সৈকত বাড়ি আসে। আমি তাদের বাসায় ছিলাম। তার মা আমাকে বললো, বাপের বাড়ি চলে যেতে। কারণ আমার সেভাবে যত্ন হচ্ছিল না সেখানে। দু’মাস ধরে আমি বাসায়। তারা আমার সাথে কোনো ধরনের যোগাযোগ করেনি।

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের সাথে তার আপন খালাতো বোন সামিয়া শারমিনের বিয়ে হয়।

 

বিষেরবাঁশী.কম/ডেস্ক/নিঃতঃ

Categories: খেলাধূলা

Leave A Reply

Your email address will not be published.