বিশেরবাঁশী ডেস্ক: ঢাকার সাভার এলাকা থেকে গত ৬ জুলাই রাত সাড়ে ১১টার দিকেই তিনজনকে র্যাব-৪ পরিচয়ে ধরে নিয়ে নেওয়া হয়েছিল। তারা হলেন- রুপাই খান ওরফে রুবেল (৪০), সিএনজি চালক ফজল হক (৬০) ও অটো চালক মুন্নাফ হোসেন (৩৫)। তাদের মধ্যে রুপাইকে পরদিন র্যাব সাভার মডেল থানায় ৯৩ টি ইয়াবাসহ গ্রেফতার দেখিয়ে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু বাকি দুজনের কোনো খোঁজ মিলছে না। তাদের আটক করার বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করা হচ্ছে র্যাবের পক্ষ থেকে। ফলে ফজল ও মুন্নাফ বেঁচে আছেন কি মরে গেছেন তা নিয়ে দুটি পরিবারেরর সদস্যরা উদ্বিগ্ন। গতকাল সকালে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়শন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে পরিবার দুটি এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ফজল হকের স্ত্রী রেনু বেগম বলেন, ঘটনার দিন রাতে তার স্বামী গোসল করছিল। তখন র্যাব সদস্যরা বাসায় এসে তাকে, মুন্নাফ ও রুপাইকে আটক করে নিয়ে যায়। ঘটনার পর র্যাবের নবীগনর ক্যাম্প ও আশুলিয়া থানায় গিয়ে খোঁজ নেন। কিন্তু কোন হদিস পাননি। পরদিন রুপাইকে সাভার থানার মাধ্যমে আদালতে হাজির করা হয়। এখনও তার স্বামী ও মুন্নাফের কোন খোঁজ মিলেনি। রেনু বেগম আরো জানান, তার ভাই রুপাই গ্রেফতার হওয়া (বর্তমানে কেরানীগঞ্জে কারাবন্দি) সাভারে তাদের বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন। এক রোগীকে তার রক্ত দেয়ার কথা ছিল। সেই মোতাবেক তিনি তাদের বাসায় অবস্থান করছিলেন। কিন্তু তাকে মাদক ব্যবসায়ী সাজিয়ে ইয়াবাসহ গ্রেফতার দেখিয়েছে র্যাব। অথচ রুপাইয়ের নামে কোন থানায় বা তার গ্রামে কোন ধরনের অভিযোগ নেই বলে জানান তিনি।
ফজল হক একজন সিএনজি চালক এবং সাভারের তেতুলঝড়া ইউনিয়নের ভরালীপাড়ায় পরিবার নিয়ে থাকতেন। স্বামীর কোনো খোজ না পাওয়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন তিনি। রেনু বেগম আরও বলেন, তার স্বামী ফজল ও ভাতিজা মুন্নাফ অপরাধী হলে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী বিচার হবে। কিন্তু র্যাব পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে তাদের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছেনা। তাদের সন্ধান পেতে প্রধানমন্ত্রী, স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশের আইজি ও র্যাব ডিজির কাছে আবেদন জানান তিনি। এ ব্যাপারে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান বলেন, র্যাব কোন আসামিকে আটক করলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে আদালতে হাজির করে। সাভার থেকে র্যাব পরিচয়ে দুই ব্যক্তিকে উঠিয়ে নেয়ার ঘটনার সত্যতা নয়।
বিশেরবাঁশী ডেস্ক/সংবাদদাতা/ইলিয়াছ