- অনলাইন ডেস্ক
খেলেন ভলিবল। আল-জাবির। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক। অলিম্পিকে কোনোদিন খেলা হয়নি। তবে অলিম্পিকের দেশ গ্রিস ঘুরে এসেছেন সম্প্রতি। দেশটির রাজধানী এথেন্সে অনুষ্ঠিত ‘ইন্টারন্যাশনাল সেশন ফর ইয়ং পার্টিসিপেন্টস’ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন। চোখের সামনে দেখেছেন বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ক্রীড়াবিদদের। আর বুকে জমেছে আক্ষেপ।
‘স্বপ্ন দেখি একদিন আমরাও অলিম্পিক খেলবো। সরকার, মন্ত্রণালয়, ক্রীড়া পরিষদ থেকে সঠিকভাবে পরিচর্যা করলে খুব সম্ভব। চোখের সামনে বিশাল আয়োজন দেখে এসেছি। আমরা কীভাবে চলছি, সেটাও বলেছি,’ চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন জাবির।
বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ মানেই ক্রিকেট খেলার দেশ। গণমাধ্যম থেকে স্পন্সর; সবাই ক্রিকেটারদের পেছনে ছোটেন। বিষয়গুলো জাবিরকে খুব পোড়ায়, ‘আমরা জাতীয় দলে খেলি, অথচ মানুষ নাম জানে না। ওখানে যেয়ে দেখেছি সবার কী কদর!’
আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) অলিম্পিকের জন্মভূমি গ্রিসের এথেন্সে নিয়মিতই আয়োজন করে থাকে এই কর্মশালাটি। এ কর্মশালার ৫৭তম আসর শেষ হয়েছে ১ জুলাই। বাংলাদেশ থেকে জাবিরসহ দ্রুততম মানবী শিরিন আক্তার অংশ নেন।
জাবির, শিরিন কর্মসূচিতে অংশ নিলেও ভালো প্রস্তুতি ছিল না। সেখানে যেয়ে বেশ সমস্যায়ও পড়তে হয়েছে তাদের।
জাবির বলেন, ‘আমাদের আরেকটু গাইড করা হলে ভালো হতো। বিভিন্ন দেশের অ্যাথলেটরা আমাদের উপহার দিয়েছে। ওদের জাতীয় পতাকা নিয়ে এসেছে। আমরা খুব বেশি কিছু করতে পারিনি।’
ওখানে মূলত কী শিখেছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে জাবির বলেন, ‘জেনেছি বিভিন্ন দেশের অ্যাথলেটরা কেন অংশ নিতে পারে না অলিম্পিকে, কী ধরনের সমস্যা হয়, গণমাধ্যমের ভূমিকা কী হতে পারে। লিঙ্গ বৈষম্য কীভাবে খেলাধুলায় প্রভাব ফেলে। এসব নিয়ে গ্রুপ ডিসকাশন, সমস্যা আর সমাধান নিয়ে কথা হয়েছে। একটা ডিপ্লোমা সার্টিফিকেটও পেয়েছি।’
জাবির বলছেন তার এই অভিজ্ঞতা তিনি দেশের উপকারে ব্যয় করতে চান, ‘ফেডারেশন থেকে আমাকে প্রতিবেদন দিতে বললে আমি দিব। যা জেনেছি সেই আলোকে চেষ্টা করবো দেশের ক্রীড়াজগতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে।’
বি.বা/ডেস্ক/ক্যানি