শুক্রবার ১৫ চৈত্র, ১৪৩০ ২৯ মার্চ, ২০২৪ শুক্রবার

প্রথমবারের মতো মুখোমুখি ট্রাম্প-পুতিন

  • অনলাইন ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রথমবারের মতো দেখা করেছেন, হ্যান্ডশ্যাক করেছেন। জার্মানির হামবুর্গে জি-২০ সম্মেলনের শুরুতেই এমন আকর্ষণীয়, আকাঙ্খিত ঘটনার সাক্ষী হলো বিশ্ববাসী।

পরে ট্রাম্প-পুতিনের মধ্যে দীর্ঘ বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানায় বিবিসি। যেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপসহ নানা বিষয়ে নিয়ে দুই দেশের মধ্যকার সৃষ্ট ক্ষত প্রশমনের চেষ্টা করা হবে বলেও জানায় ব্রিটিশ গণমাধ্যমটি।

জি-২০ সম্মেলন নিয়ে জার্মানিতে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখেও দুই দিনের এই সম্মেলন অনুষ্ঠিতক হচ্ছে। যেখানে জলবায়ু পরিবর্তন এবং বাণিজ্য বিষয়ক আলোচনাই প্রাধান্য পাবে। হামবুর্গ শহরে ‘নরকে স্বাগতম’ লেখা মুখোশ পড়ে বিক্ষোভ মিছিলকারীদের সাথে সংঘর্ষে ৭৬ পুলিশের কর্মকর্তা আহত হন।

সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তৃতায় জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল বলেন, গুরুত্বপূর্ণ বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলো বিষয়ে আমরা সবাই সচেতন। সমঝোতা এবং ঐক্যবদ্ধভাবে কাজের মাধ্যমেই সামনে এগিয়ে যাওয়া যাবে বলেও অভিমত তার। একই ইস্যুতে ভিন্ন মতকেও স্বাগত জানান তিনি।

জি-২০ সম্মেলন উপলক্ষ্যে বিক্ষোভের কথা বিবেচনা করে জার্মানির হামবুর্গ শহরে ২০ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তবে ধারণা করা হচ্ছে শুক্র শনিবারের মধ্যে সেখানে ১ লাখ বিক্ষোভকারী সমবেত হতে পারে।

জি-২০ সম্মেলনে কিছু সময়ের জন্য আলাদা করে বৈঠকে বসার কথা ছিলো বিশ্বের শীর্ষ দুই নেতা ট্রাম্প-পুতিনের। শুক্রবার বিকালে বৈঠকে বসার কথা ছিলো তাদের। রাশিয়ার গণমাধ্যমের তথ্যমতে, বিকালে ৩০ মিনিটের জন্য আলাদা করে বৈঠক করবেন তারা। সেখানো আলোচনার মূল বিষয় হতে পারে সিরিয়া এবং ইউক্রেন সংকট।

মঙ্গলবার ট্রাম্প পোল্যান্ডে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এক বক্তৃতায় বলেন, মস্কোর উচিত সিরিয়া এবং ইরানকে সহায়তা না করে দায়িত্বশীল দেশগুলোর সঙ্গে যোগ দেয়া। ট্রাম্প এ সময় শত্রুদের বিরুদ্ধে একযোগে লড়াই চালানোর উপর গুরুত্বারোপ করেন।

ক্রেমলিন অবশ্য ট্রাম্পের ওই বক্তব্যকে প্রত্যাখান করে বলেছেন, ইউক্রেন ক্রিমিয়াকে ২০১৪ সালে দখল করে এবং প্রয়োজনীয় সকল অস্ত্র সহায়তা দিয়ে ইউক্রেন থেকে ক্রিমায়াকে আলাদা করার জন্য রাশিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়।

মস্কো এই অভিযোগকে প্রত্যাখান করে বলেছে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে রাশিয়ান বাহিনী কাজ করেছে। সিরিয়া বিষয়ে ওয়াশিংটন কিছু অস্ত্রধারী বিদ্রোহীদের পক্ষে অবস্থান নেন। কিন্তু রাশিয়া মূল ধারা বাশার আল-আসাদ সরকারের সঙ্গে ছিলো।

২০১৬ সালের পর মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার সম্পৃক্ততার কথা উঠার পর থেকে ট্রাম্প-পুতিন মুখোমুখি হওয়ার কথা হয়ে আসছিলো। অবশেষে মুখোমুখি হলেন তারা।

বি.বা/ডেস্ক/ক্যানি

Categories: আন্তর্জাতিক

Leave A Reply

Your email address will not be published.