বৃহস্পতিবার ৫ বৈশাখ, ১৪৩১ ১৮ এপ্রিল, ২০২৪ বৃহস্পতিবার

বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা ১৮৩৫৩ মেগাওয়াটে উন্নীত

বিশেরবাঁশী ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমানে বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়ে ক্যাপটিভসহ ১৮ হাজার ৩৫৩ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আজ বুধবার সংসদে তাঁর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের নূরুন্নবী চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। খবর বাসস’র শেখ হাসিনা বলেন, দারিদ্র্য বিমোচন এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিদ্যুৎ অপরিহার্য। সরকার বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়ন ও ‘সবার জন্য বিদ্যুৎ’ সুবিধা নিশ্চিত করতে তাৎক্ষণিক, স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করে।

তিনি বলেন, এ পরিকল্পনার আওতায় উৎপাদন ক্ষমতা ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করার কার্যক্রম চলছে।\ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসের স্থাপিত ক্ষমতার চেয়ে প্রায় চার গুণ বেশি বৃদ্ধি পেয়ে ১৮ হাজার ৩৫৩ মেগাওয়াটে (ক্যাপটিভসহ) উন্নীত হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের মে পর্যন্ত মোট ১০ হাজার ৭৩৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৯৬টি নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাণিজ্যিকভাবে চালু হয়েছে। তিনি বলেন, ভারত থেকে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। বিদ্যুৎ সুবিধা প্রাপ্ত জনগোষ্ঠীর সংখ্যা শতকরা ৪৭ ভাগ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে শতকরা ৯০ ভাগে উন্নীত হয়েছে (নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ)।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ২২০ কিলোওয়াট ঘণ্টা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৪৩৩ কিলোওয়াট ঘন্টা দাঁড়িয়েছে (ক্যাপটিভসহ)। সঞ্চালন লাইন ৭ হাজার ৯৯১ সার্কিট কিলোমিটার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১১ হাজার ৬০ সার্কিট কিলোমিটারে উন্নীত হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, নতুন ১ লাখ ৮৯ হাজার ৬৩১ কিলোমিটার লাইন নির্মাণের মাধ্যমে বিতরণ লাইনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৫০ হাজার কিলোমিটার। নতুন ১ কোটি ৮৫ লাখ সংযোগের মাধ্যমে বিদ্যুতের গ্রাহক সংখ্যা ২ কোটি ৯৩ লাখে উন্নীত হয়েছে।

তিনি বলেন, বিদ্যুতের সামগ্রিক সিস্টেম লসের পরিমাণ শতকরা ১৬ দশমিক ৮৫ ভাগ থেকে হ্রাস পেয়ে শতকরা ১২ দশমিক ১৯ ভাগে দাঁড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে সঞ্চালন ও বিতরণ লাইনের ক্ষমতা যথাক্রমে ২১ হাজার সার্কিট কিলোমিটার এবং ৪ লাখ ৭৮ হাজার কিলোমিটার উন্নীত করা হয়েছে। তিনি বলেন, ২০২১ সাল নাগাদ ২ কোটি ২ লাখ প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করা হয়েছে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতকরণে স্মার্ট গ্রিড এবং আন্ডার গ্রাউন্ড বিতরণ নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হয়েছে। গ্রাহক সেবা নিশ্চিতকরণে আইসিটি ভিত্তিক সেবা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনে জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিতকরণে এলএনজি টার্মিনাল, কোল টার্মিনালসহ ‘ফ্লুটিং স্টোরেজ এন্ড রিগ্যাসিফেশন ইউনিট (এফএসআরইউ) নির্মাণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আঞ্চলিক সহযোগিতার ভিত্তিতে ভারত থেকে ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে মোট ২ হাজার ৩৩৬ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ আমদানির লক্ষ্যে কার্যক্রম চলছে। এ বছরই ভারত থেকে আরও ৫শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি শুরু হবে বলে আশা করা যায়।

বিশেরবাঁশী ডেস্ক/সংবাদদাতা/ইলিয়াছ

Categories: জাতীয়,সারাদেশ

Leave A Reply

Your email address will not be published.