শুক্রবার ১৫ চৈত্র, ১৪৩০ ২৯ মার্চ, ২০২৪ শুক্রবার

বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

  • অনলাইন ডেস্ক

টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে কক্সবাজারে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। বন্যার পানিতে ডুবে মারা গেছে দুই শিশু। পাহাড় ধসের আশঙ্কায় সতর্কতা জারি করে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। কুড়িগ্রামে নতুন করে বন্যা দেখা দিয়েছে। তিন সপ্তাহ ধরে বন্যার পানিতে আটকে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে সিলেট ও মৌলভীবাজারের লাখো মানুষ।

কক্সবাজার: পাহাড় থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে কক্সবাজারে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ঢলের পানিতে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। পাহাড় ধসের আশঙ্কায় জারি করা সর্তকতা বলবৎ রয়েছে। সরিয়ে নেয়া হয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাসকারী ৩’শ মানুষকে। সতর্ক করে চলছে মাইকিং।

বুধবার রাতে পাহাড় ধসে এক শিশুর মৃত্যু হয়। আর বানের পানিতে ভেসে নিখোঁজ ২ শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। চকোরিয়া, পেকুয়া, রামু ও কক্সবাজার সদরের শতাধিক গ্রামের ৩ লাখের বেশি মানুষ এখনো পানিবন্দি। মাতামুহুরী ও বাকঁখালী নদীর পানি বিপদ সামীর উপর দিয়ে বইছে। পানিতে ডুবে গেছে অভ্যন্তরীণ সড়ক। ভেঙ্গে গেছে বেড়িবাঁধসহ বেশিরভাগ গ্রামীণ সড়ক ও কালভার্ট।

সিলেট: সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানি কিছুটা কমলেও বিপদসীমার উপরে বইছে। ত্রাণ যেটুকু মিলছে তা প্রয়োজনের তুলনায় কম বলে দুর্গতদের অভিযোগ। কয়েকটি উপজেলার সাথে জেলা শহরের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

মৌলভীবাজার: টানা তিন সপ্তাহ ধরে বন্যা পরিস্থিতির কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে । তবে, কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদ সীমা থেকে কমতে শুরু করেছে। খাবার, পানি ও আশ্রয়ের জন্য বন্যা কবলিত মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ভিড় করছে।

কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, ধরলাসহ সবকটি নদ-নদীর পানি বেড়ে নিন্মাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে শতাধিক গ্রামের মানুষ। বন্যাকবলিত এলাকায় বাড়ছে পানি বাহিত নানা রোগ।

 

বি.বা/ডেস্ক/ক্যানি

Categories: সারাদেশ

Leave A Reply

Your email address will not be published.