বিশেরবাঁশী ডেস্ক: ঢাকা: ঈদকে কেন্দ্র করে সদরঘাট, বরিশাল, চাঁদপুরসহ সব নদীবন্দর ও খেয়াঘাটগুলোতে সরকারের নিয়োজিত ইজারাদাররা অতিরিক্ত টোল আদায়ের নামে নৈরাজ্য ও অস্বাভাবিক যাত্রী হয়রানি শুরু করেছে। চলতি সপ্তাহের প্রথমদিক থেকে এ নৈরাজ্য শুরু হলেও সংশ্লিষ্ট কোনো কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে এগিয়ে আসছে না। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি গণপরিবহনে ভাড়া নৈরাজ্য পর্যবেক্ষণ উপ-কমিটির সদস্যদের বিভিন্ন নদীবন্দর ও খেয়াঘাটে যাত্রী সেবা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণকালে এ তথ্য ওঠে এসেছে।
পর্যবেক্ষণকালে দেখা গেছে, সদরঘাটে খেয়া পারাপারে ইজারাদারদের নৌকায় ৫০ পয়সা টোল আদায়ের চুক্তি থাকলেও নৌকা ছাড়া শুধু মাত্র ঘাটে নামতেই যাত্রী প্রতি ৫ টাকা হারে টোল আদায় করা হচ্ছে। ৫ টাকা টোল দিয়েও যাত্রীসাধারণকে আবার ভাড়াকৃত নৌকায় ৫ থেকে ১০ টাকা নৌকা ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। ইজারাদারের নৌকায় পারাপারে প্রতি ১০০ কেজি মালামাল বহনে ২ টাকা ইজারা আদায়ের চুক্তি থাকলেও সদরঘাটে নিয়োজিত ইজারাদার কোনো নৌকা ভাড়া না করে শুধুমাত্র ঘাট দিয়ে পারাপারে যাত্রী সাধারণের কাছ থেকে অবৈধভাবে খেয়া পারাপারের ভাড়ার পাশাপাশি কোনো যাত্রী পণ্য নিয়ে নদী পারাপারেও সর্বনিম্ন ১০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা পর্যন্ত নৌকা ভাড়া আদায় করছে। ইজারাদার এ টোল দেওয়ার পরও যাত্রীসাধারণ নৌকায় পণ্য ও নৌকার ভাড়া আলাদাভাবে দিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে। এতে দেখা গেছে, প্রতিদিন সদরঘাটে দু’পাড়ে যাতায়াতকারী যাত্রীসাধারণের কাছ থেকে প্রায় ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা অবৈধভাবে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ ঈদে তার দ্বিগুণ আদায় হচ্ছে। এমন চিত্র দেশব্যাপী ছড়িয়ে থাকা দেশের প্রায় সবক’টি নদীবন্দর ও খেয়াঘাটে লক্ষ্য করা গেছে।
এছাড়া ঘাটে প্রবেশে যাত্রী প্রতি টিকিটবিহীন টাকা আদায় করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করছে বিআইডাব্লিউটিএ’র নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। প্রতিদিন লক্ষাধিক যাত্রী সদরঘাট দিয়ে যাতায়াত করলেও ঈদের মৌসুমে যাত্রী যাতায়াত তিনগুণ বেড়ে যায়। ঘাটে গত এক সপ্তাহ পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, বিআইডাব্লিউটিএ’র নিয়োজিত কর্মচারীরা সিংহভাগ যাত্রীদের টিকিটবিহীন টার্মিনাল প্রবেশ ফি আদায় করছে। এতে টার্মিনাল প্রবেশ ফি
বিশেরবাঁশী ডেস্ক/সংবাদদাতা/ইলিয়াছ