বিশেরবাঁশী ডেস্ক: কুমিল্লায় নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি আগামীকাল সোমবার পর্যন্ত মুলতবি করেছেন হাইকোর্ট। আজ রোববার বিচারপতি মো. শওকত হোসেন ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন আদালতে খালেদা জিয়ার আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন। সঙ্গে ছিলেন- ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান, অ্যাডভোকেট মো. মাসুদ রানা প্রমুখ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন- অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন প্রমুখ।
আগে কুমিল্লায় নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে করা আপিল আবেদনের ওপর গত ৭ জুন শুনানি হয়। শুনানিকালে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা তার জামিন আবেদনের শুনানি করতে বিচারিক আদালতের (খালেদা জিয়ার আবেদনের শুনানি বিচারিক আদালতে চলমান) প্রতি নির্দেশনা চেয়ে আবেদন জানায় এবং এ সংক্রান্ত গত ৬ জুনের হাইকোর্টের একটি রায় আদালতে উপস্থাপন করেন। কিন্তু সে রায়টি পড়তে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আজ রবিবার (১০ জুন) পর্যন্ত সময় আবেদন করেন। এরপর আদালত সময় মঞ্জুর করে মামলার শুনানি মুলতবি রেখেছিলেন। তবে আজ পুনরায় শুনানি নিয়ে মামলাটি আগামীকাল পর্যন্ত মুলতবি করেন আদালত।
২০ দলীয় জোটের অবরোধ চলাকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামে বাসে দুষ্কৃতিকারীদের ছোড়া পেট্রোল বোমার ঘটনায় ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি পুলিশ বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এরপর চলতি বছরের গত ২৮ মে কুমিল্লার একটি আদালতে গ্রেপ্তার দেখানোপূর্বক জামিন আবেদন করেন খালেদা জিয়া। সে আবেদন নামঞ্জুর করে আগামী ৮ আগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন বিচারিক আদালত। কিন্তু তার আগেই ওই আদেশের বিরুদ্ধে গত ৫ জুন হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন খালেদা জিয়া।
উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন রাজধানীর বকশীবাজারে স্থাপিত অস্থায়ী পঞ্চম বিশেষ জজ আদালত। রায় ঘোষণার পরপরই তাকে ওই দিন বিকেলে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি এখন সেখানেই আছেন।
বিশেরবাঁশী ডেস্ক/সংবাদদাতা/ইলিয়াছ