বিশেরবাশী ডেস্ক: ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ বলে একদিন যে দেশকে অবজ্ঞা করা হয়েছে, সে দেশ বিশ্ববাসীর কাছে এখন এক ‘উন্নয়ন-বিস্ময়’। ব্যক্তিগতভাবে আমার গর্বের বিষয় হচ্ছে বিগত শতাব্দীর ৭০ ও ৮০’র দশকে আমি ‘বিশ্ব ভিক্ষুক’ বলে অবহেলিত হয়ে আজকে সফল একজন অর্থমন্ত্রীর সম্মান পাচ্ছি। বৃহস্পতিবার ২০১৮-১৯ সালের বাজেট প্রস্তবনায় সংসদে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।n তিনি বলেন, ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ বলে একদিন যে দেশকে অবজ্ঞা করা হয়েছে, সে দেশ বিশ্ববাসীর কাছে এখন এক ‘উন্নয়ন-বিস্ময়’; বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রযাত্রা এখন বিশ্বের রোল মডেল। ২০১৭ সালে দ্রুততর প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী শীর্ষ দশটি দেশের তালিকায় বাংলাদেশও রয়েছে।
তিনি বলেন, দ্রুততম সময়ে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের রূপরেখা বাস্তবায়নে আমাদের সরকারের ঈর্ষণীয় সক্ষমতা ইতোমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। এটি শুধু আমাদের দাবি নয়, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সত্য। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের পরিসংখ্যান মতে নামিক জিডিপি’র ভিত্তিতে বর্তমানে বাংলাদেশ পৃথিবীর ৪৩তম বৃহৎ অর্থনীতি আর ক্রয়ক্ষমতা সমতার (purchasing power parity) ভিত্তিতে আমাদের অবস্থান ৩২তম। Price Waterhouse Coopers-এর প্রক্ষেপণ মতে, ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশ হবে বিশ্বের ২৮তম বৃহত্তম অর্থনীতি এবং ২০৫০ সালে বাংলাদেশের অবস্থান হবে ২৩তম। বিগত শতাব্দীর ৭০ ও ৮০’র দশকে আমি ‘বিশ্ব ভিক্ষুক’ বলে অবহেলিত হয়ে আজকে সফল একজন অর্থমন্ত্রীর সম্মান পাচ্ছি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ কোরনিল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বনামধন্য বাঙ্গালী অধ্যাপক কৌশিক বসু তার সাম্প্রতিক ‘Why is Bangladesh Booming’ লেখাতে বাংলাদেশের অভাবনীয় অর্জনকে ‘One of Asia’s most remarkable and unexpected success stories’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তার লেখায় বাংলাদেশের এরূপ অর্থনৈতিক অগ্রগতির অন্যতম নির্ধারক হিসেবে নারীর ক্ষমতায়নকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
বিশেরবাশী ডেস্ক/সংবাদদাতা/ইলিয়াছ