মঙ্গলবার ৩ বৈশাখ, ১৪৩১ ১৬ এপ্রিল, ২০২৪ মঙ্গলবার

পানছড়িতে খাদ্য কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ আ.লীগ সভাপতির বিরুদ্ধে

বিশেরবাঁশী ডেস্ক: খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলায় স্থানীয় সরকারি খাদ্য গুদামের উপ-সহকারী পরিদর্শককে লাঞ্ছিত ও অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাহার মিয়ার বিরুদ্ধে। বুধবার (৬জুন) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, পানছড়ির বিভিন্ন গুচ্ছগ্রামের প্রকল্প চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে অবৈধভাবে কেনা খাদ্যশস্য রাখা হতো সরকারি খাদ্য গুদামে। বুধবার দমদম গুচ্ছগ্রামের প্রকল্প চেয়ারম্যানের কাছ থেকে কেনা ১১ ম্যাট্রিক টন গম আনতে যায় বাহার মিয়া। এসময় গুদামে মজুতকৃত গম আরেক খাদ্য ব্যবসায়ী এবং আশীষ দেব নিয়ে গেছে জানতে পেরে উপ-সহকারী পরিদর্শক রোকন মিয়ার ওপর মারধর শুরু করেন বাহার মিয়া ও তার লোকজন। এসময় গুদামের বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করে তারা।

মারধরের শিকার খাদ্য গুদামের উপ-সহকারি পরিদর্শক রোকন মিয়া বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সভাপতি বাহার মিয়া গুচ্ছগ্রামের প্রকল্প চেয়ারম্যান এবাদ মিয়ার নাম বলে ১১ টন গম দাবি করেন। প্রথমে হুমকি-ধামকি দেন। পরে মারধর শুরু করেন। তার নির্দেশে লোকজন অফিসের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। ঘটনাটি আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও পুলিশকে জানিয়েছি।’

অভিযোগের বিষয়ে বাহার মিয়া বলেন, ‘পূর্ব দমদমের গুচ্ছগ্রামের প্রকল্প চেয়ারম্যান এবাদ মিয়ার কাছ থেকে ১১ টন গম কিনেছিলাম। সরকারি খাদ্য গুদামে থাকা এবাদ মিয়ার জন্য বরাদ্দকৃত গম চাইতে গেলে উপ-পরিদর্শক রোকন মিয়া আমার কেনা গমগুলো আশীষ দেব নিয়ে গেছে বলে জানায়। এসময় আমি শুধু রাগান্বিত হয়ে উচ্চবাচ্য করেছি।’

খাদ্য গুদামের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘পানছড়ি ১৭টি গুচ্ছগ্রামের জন্য ১২’শ টন খাদ্য শস্য বরাদ্দ থাকে। যা গাড়ি হিসেবে প্রায় ৩শ’র মতো। খাদ্যশস্য আনা-নেওয়া বাবদ গাড়ি প্রতি ৩২ হাজার টাকা পরিবহন ব্যয় লুটপাট করছেন খাদ্য পরিদর্শক ও সংশ্লিষ্টরা।’ পানছড়ি খাদ্য গুদামের পরিদর্শক মঈনুল খায়ের বলেন, ‘আওয়ামীলীগ সভাপতি বাহার মিয়া নিজে গিয়ে উপ-সহকারী কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করেছেন এবং অফিসে ভাঙচুর করেছেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

বিশেরবাঁশী ডেস্ক/সংবাদদাতা/ইলিয়াছ

Categories: অপরাধ ও দুর্নীতি,সারাদেশ

Leave A Reply

Your email address will not be published.