শুক্রবার ১৫ চৈত্র, ১৪৩০ ২৯ মার্চ, ২০২৪ শুক্রবার

মানুষের জীবন-জীবিকার জন্য প্রকৃতি ও পরিবেশের গুরুত্ব অপরিসীম: প্রধানমন্ত্রী

বিশেরবাঁশী ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানুষের জীবন-জীবিকা নির্বাহে প্রকৃতি ও পরিবেশের গুরুত্ব অপরিসীম।জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও মানুষের অপরিণামদর্শী কর্মকাণ্ডের জন্য প্রকৃতি ও পরিবেশে প্রতিনিয়ত দূষিত হচ্ছে। বিঘ্নিত হচ্ছে প্রাকৃতিক ভারসাম্য। আজ বিশ্ব পরিবেশ দিবস। এ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘আসুন প্লাস্টিক দূষণ বন্ধ করি’ এবং স্লোগান ‘প্লাস্টিক পুনঃব্যবহার করি, না পারলে বর্জন করি। প্লাস্টিকের ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন যে বর্জ্য তৈরি হয়, তার শতকরা প্রায় ১০ ভাগ প্লাস্টিক। প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী ৫০০ বিলিয়ন প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবহৃত হচ্ছে। যার মধ্যে প্রায় ৮ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক সমুদ্রে পতিত হয়। এর ফলে এক মিলিয়ন সমুদ্রচারী পাখি এবং এক লাখ সামুদ্রিক স্তন্যপায়ীর মৃত্যু হয়।’

শেখ হাসিনা বলেন, প্লাস্টিকের বেশি উৎপাদন ও ব্যবহারের ফলে উর্বর কৃষি জমি থেকে শুরু করে খাল-বিল, নদ-নদী এবং সাগর-মহাসাগরের প্রতিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। তাই প্লাস্টিকের পুনঃব্যবহার এবং পুনঃচক্রায়ন একান্ত প্রয়োজন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পলিথিনের বিকল্প পাটের শপিং ব্যাগ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, নতুন নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনে যাতে প্রতিবেশ ও পরিবেশসম্মত বিধি ব্যবস্থা পালন করা হয় সেদিকে বিশেষ নজর দেয়া হচ্ছে। শিল্পাঞ্চল, আবাসিক অঞ্চলসহ যে কোনও স্থাপনায় বৃষ্টির পানি ও জলাধার সংরক্ষণ এবং বৃক্ষ রোপণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আমাদের সরকার নদী খনন, খাল খননসহ পাড়ে বৃক্ষরোপণ বাধ্যতামূলক করেছে। সাগর ও উপকূল অঞ্চলে সবুজ বেষ্টনী, বৃক্ষরোপন ও ম্যানগ্রোভ সৃষ্টি করা হচ্ছে।

‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০১৮’ উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপনের মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণ ও প্রতিবেশের টেকসই ব্যবস্থাপনায় জনসচেতনতা ও জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি পাবে।’ খবর বাসস।

বিশেরবাঁশী ডেস্ক/সংবাদদাতা/ইলিয়াছ

Categories: জাতীয়,সারাদেশ

Leave A Reply

Your email address will not be published.