শুক্রবার ১৫ চৈত্র, ১৪৩০ ২৯ মার্চ, ২০২৪ শুক্রবার

আমদানি বাড়লেও দাম কমছে না পেঁয়াজের

বিশেরবাঁশী ডেস্ক: বেনাপোল বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বাড়লেও বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় দাম কমছে না পেঁয়াজের। গত এক সপ্তাহে ১০ হাজার ৭৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হলেও ৫ দিনের ব্যবধানে ২০ টাকার পেঁয়াজের দাম বেড়ে হয়েছে ২৮ টাকা। ক্রেতাদের অভিযোগ, সরকার শুল্কমুক্ত সুবিধায় ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির সুযোগ দিলেও বাজার নিয়ন্ত্রণ ব্যর্থতার কারণে দাম বেড়েছে। অতিরিক্ত মুনাফালোভী বিক্রেতাদের কারসাজির কারণে রমজানে অস্বাভাবিক হারে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।

জানা যায়, আগে ১০ শতাংশ শুল্ক দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করতে হতো। তখন খুচরা বাজারে কেজি প্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত পেঁয়াজ কিনতে হতো সাধারণ ক্রেতাদের। পরে পেঁয়াজের বাজার মূল্য ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে ২০১৬ সালের রোজার আগে সরকার পেঁয়াজের ওপর আমদানি শুল্ককর প্রত্যাহার করে নেয়। তবে শুল্ককর প্রত্যাহার হলেও ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে হঠাৎ করে অস্বাভাবিক হারে মূল্য বেড়েছে পেঁয়াজের।

এদিকে, ভারতের রফতানি মূল্যে প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে ২০৫ মার্কিন ডলার মূল্যে। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রতি টনের মূল্য দাঁড়ায় ১৭ হাজার ১৫ টাকা। কেজি প্রতি আমদানি খরচ পড়ছে প্রায় ১৮ টাকা। এলসি খরচসহ অন্যান্য খরচ মিলিয়ে বেনাপোল স্থলবন্দর পর্যন্ত পেঁয়াজ পৌঁছাতে খরচ পড়ছে প্রতি কেজি ১৯ টাকা। আমদানি হওয়া পেঁয়াজ বন্দর থেকে পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২৩ টাকা। আর খুচরা বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ২৮ টাকা থেকে ৩০ টাকায়।

আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান রয়েল এন্টারপ্রাইজের মালিক রয়েল জানান, পেঁয়াজের চাহিদার তুলনায় আমদানি হচ্ছে কম। এছাড়া গাড়ি ভাড়া বেড়েছে। খরচের ওপর নির্ভর করে দাম উঠা-নামা করে। বেনাপোলের ইতু সবজি ভান্ডারের মালিক আতাউর রহমান জানান, তারা আমদানিকারকের কাছ থেকে প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ কিনছেন ২৩ টাকায়। সেটা খুরচা বাজারে বিক্রি করছেন ২৮-৩০ টাকায়। গরমে অনেক পেঁয়াজ পঁচে যাওয়ার কারণে দাম একটু বেশি ধরতে হয়।

ক্রেতা রোকসানা খাতুন বৃস্টি জানান, প্রতি বছর রোজার আগে পেঁয়াজের বাজার দর বেড়ে যায়। দাম বাড়বে না বলে রাজনীতিবিদরা আশ্বাস দিলেও কাজ হয় না। অতিরিক্ত পয়সা কেবল সাধারণ ক্রেতাদের গুনতে হয়। দ্রুত বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে রোজার মধ্যে পেঁয়াজের বাজার আরও ঊর্ধ্বগতি হবে। বেনাপোল কাস্টমস ডেপুটি কমিশনার সাইদ আহমেদ রুবেল জানান, পিয়াঁজের ওপর শুল্ককর না থাকায় রোজা উপলক্ষে আমদানি বেড়েছে। বন্দর থেকে পেঁয়াজ দ্রুত খালাসের জন্য অফিসারদের নিদের্শনা দেওয়া হয়েছে।

বিশেরবাঁশী ডেস্ক/সংবাদদাতা/ইলিয়াছ

Categories: অর্থনীতি,সারাদেশ

Leave A Reply

Your email address will not be published.