বিশেরবাঁশী ডেস্ক: অনক্যাম্পাস এমএএস ইন লাইব্রেরি এন্ড ইনফরমেশন সায়েন্স প্রোগ্রামের গবেষকদের অংশগ্রহণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো দু‘দিনব্যাপী এক সেমিনার। গ্রন্থাগার ও তথ্যবিজ্ঞান বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত এ সেমিনারে গবেষকবৃন্দ স্ব স্ব গবেষণা ফলাফল উপস্থাপন করেন। সেমিনারে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ গবেষকদের গবেষণা ফলাফল উপস্থাপনের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, এ আয়োজন সত্যি প্রশংসার দাবীদার। দু’দিন ধরে অত্যন্ত ধৈর্য্য ধারণ করে সকলের এ অংশগ্রহণ সেমিনারকে প্রানবন্ত করে তুলেছে। এসব গবেষকদের পদচারণায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক পরিবেশ নতুন মাত্রা পাবে। তিনি গবেষকদের পরামর্শ প্রদান করে বলেন, “প্রকৃত গবেষক বলার চেয়ে ভাবেন বেশী।”
সেমিনারে বিষয় বিশেষজ্ঞ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রফেসর ড. মো. নাসিরউদ্দিন মুন্সী ও ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ইনফরমেশন স্টাডিজ এন্ড লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্টের বিভাগীয় প্রধান ড. দিলারা বেগম।
আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান, স্নাতকোত্তর শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ডিন প্রফেসর ড. মো. আনোয়ার হোসেন; কারিকুলাম উন্নয়ন ও মূল্যায়ন কেন্দ্র-এর ডিন মোহাম্মদ বিন কাশেম ও রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেন।
উল্লেখ্য, স্নাতকপূর্ব শিক্ষা বিষয়ক স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মো. নাসিরউদ্দিনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ২০১৫-১৬ সেশনে মোট ৯জন এমএএস গবেষক গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। গবেষকৃবন্দ হলেন- মো. বাবর আলী, মো. জাহিদ হাসান, মো. মেহেদী হাসান, মো. রানাউল করিম, কামরুজ্জামান, মো. নুরুল ইসলাম, মো. সুজাউদ্দোলা, মো. মাহফুজ সহিদ খান ও মাহমুদ শাহরিয়ার।
সেমিনারে একাডেমিক কমিটি, সোশাল সায়েন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান ড. মো. আওলাদ হোসেন সভাপতিত্ব করেন। অন-ক্যাম্পাস প্রোগ্রামের বিভিন্ন বিষয়ের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্তকর্তাগণও দু’দিনব্যাপী সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন।
বিশেরবাঁশী ডেস্ক/সংবাদদাতা/ইলিয়াছ