বিষেরবাঁশী ডেস্ক: নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান বলেছেন, আমার একটু বদনাম আছে৷ আমি খুব স্পষ্ট কথা বলি৷ আমি জনগণের জন্য কথা বলি৷ সাঁথিয়া বেড়া এলাকায় একটা মুনাফেক আছে যিনি হলেন জ্ঞানপাপী তাকে এক সময় আমি শ্রদ্ধা করতাম৷ এখন আর করি না৷ তিনি যখন সুযোগ পান প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা কে ছোবল মারার চেষ্টা করেন৷ ইনি আবার এসেছেন সাঁথিয়া বেড়ায় আওয়ামীলীগকে ধ্বংস করার জন্য। টুকু ভাই ভালো মানুষ। সে কিছু বলবেনা কিন্তু আমি শামীম তাঁর ছোট ভাই, আমার মতো শামিম বহু আছে ঢাকাতে, আমরা কিন্তু ছাড় দেবো না৷
সোমবার (১৪ মে) পাবনার সাথিয়ায় ধুলাউড়ি রূপসী বাউসগাড়ী গনহত্যা দিবস উপলক্ষে আওয়ামীলীগের এক জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন৷ সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও বতর্মান সাংসদ সামসুল ইসলাম টুকুর সভাপতিত্বে জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রী মো: নাসিম এমপি। এরআগে সকালে শামীম ওসমান একটি হেলিকপ্টার যোগে ঢাকা থেকে পাবনার সাথিয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন।
তিনি আরো বলেন, এ এলাকার মানুষকে আমরা সম্মান করি৷ আমাদের সামনে দাড়িয়ে আছেন নাসিম ভাই৷ তাঁর সামনে দাড়িয়ে বক্তব্য দেবার মতো সাহস আমার নাই৷ কারণ জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য যারা জীবনকে বাজি রেখে কারাগারের ভিতরে থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়েও যারা বেঈমানি করেন নাই৷ তাঁদের একজন নাসিম ভাই৷ টুকু ভাই ভালো মানুষ, নাসিম ভাই বড় নেতা কিন্তু ভালো মানুষ না৷ ঢাকায় গিয়ে এক কথা বলবেন আর এখানে মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষের মানুষের বিরুদ্ধে কাজ করবেন৷ তা হতে দেয়া যাবে না৷ সামনে প্রতিযোগিতায় লড়াই হবে৷ সে লড়াইয়ে শেখ হাসিনা ও স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি জিতবে, আপনারা পারবেন না৷
শামীম ওসমান বলেন, আমার মুক্তিযোদ্ধা ভাইয়েরা এখানে বসে আছেন৷ যারা সেদিন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়েছিলেন৷ মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন৷ আর আরেক দল লোকের জন্য আমি লজ্জা পাই৷ নিজামী সাহেবরা তারা মৃত ব্যক্তি, তাদের নিয়ে আলোচনা করতে চাই না৷ তবে ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না৷ তারা এই বাংলার মানুষের বিপক্ষে অবস্থান করে দেশের শত্রুদের সাথে হাত মিলিয়েছিলেন৷ নারীদের ঘর থেকে টেনে বের করে ধর্ষণ করেছিলেন৷ মাকে ছেলের সামনে, বোনকে ভাইয়ের সামনে ধর্ষণ করেছে পাকবাহিনীরা৷ আর তাদের সাহায্য করেছেন তারা৷ এটা তো গল্প না৷ ইতিহাস, সত্য ইতিহাস৷
শামীম ওসমান আরো বলেন, এখন সেই ভাই, সেই বোন যদি ডেকে প্রশ্ন করে, আর কতোকাল এই নিজামগঞ্জের কলঙ্ক নিয়ে বেঁচে থাকবো? এরা নেত্রীর পরিচয়ে বেঁচেছে, বঙ্গবন্ধুর পরিচয়ে বেঁচেছে৷ আর ঠিক সময়ে তাদের বিরুদ্ধে গিয়েছে৷ এরা মোশতাকের বংশধর৷ এরা খোলস বদলায়৷ আর আমরা নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিনের, মনসুর আলীর বংশধর৷ ওনারা মহান নেতা ছিলেন৷ চার নেতা হত্যাকান্ডের সময় মনসুর আলী সাহেব আর আমার বাবা একই রুমে ছিলেন৷ বাবা বলেছিলেন, সবাই কান্না করলেও মনসুর আলী সাহেব কান্না করেন নাই৷ তারা অত্যন্ত সাহসী ছিলেন৷ তাদেরকে প্রস্তাব দেয়া হয়, মোশতাকের দলে আসার জন্য৷ বাংলাদেশের মানুষ কখনো সন্তানের নাম মোশতাক রাখে না৷
বিষেরবাঁশী ডেস্ক/সংবাদদাতা/হৃদয়