বিশেরবাঁশী ডেস্ক: এবারের আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বোলিং আক্রমণ সবচেয়ে শক্তিশালী। সেটি আরও একবার প্রমাণ হলো জয়পুরে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে। আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১৫১ রানের পুঁজি নিয়েও হায়দরাবাদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে আটকে গেছে রাজস্থান। ১১ রানের জয় পেয়েছে সাকিবরা। এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠল হায়দরাবাদ। ৮ ম্যাচে সাকিবদের সংগ্রহ ১২ পয়েন্ট।
এরআগে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের বিপক্ষে ১১৮ রানের পুঁজি নিয়েও জিতেছিল হায়দরাবাদ। পরের ম্যাচে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে ১৩২ রান করেও এসেছে জয়। রোববারও (২৯ এপ্রিল) দেখা গেল একই চিত্র। হায়দরাবাদের ব্যাটিং বিভাগ সেভাবে জ্বলে উঠতে না পারলেও পুষিয়ে দিয়েছেন বোলারেরা।
এদিন দ্বিতীয় ওভারেই সাকিবকে বোলিং আক্রমণে নিয়ে এসেছিলেন কেন উইলিয়ামসন। প্রথম ওভারে ৯ রান দেওয়া সাকিব তাঁর ৪ ওভারের স্পেলে ৩০ রান দিলেও উইকেট পাননি। রশিদ খান (৪-০-৩১-১), সিদ্ধার্থ কৌলরা (৪-০২৩-২) দারুণ বোলিং করলেও সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন সন্দ্বীপ শর্মা। ১৫ রানে ১ উইকেট নেওয়া এই পেসার ওভার প্রতি ৩.৭৫ গড়ে রান দিয়েছেন। সিদ্ধার্থ (৮), রশিদ (৪), সাকিবদের (৪) তুলনায় সন্দ্বীপ (১৪) ‘ডট’ দেওয়ার ক্ষেত্রেও এগিয়ে।
তৃতীয় ওভারেই সন্দ্বীপই রাহুল ত্রিপাঠিকে ফিরিয়ে হায়দরাবাদের জয়ের অভিযান শুরু করেছিলেন। ১১তম ওভারের মধ্যে সঞ্জু স্যামসন (৪০) ও বেন স্টোকসকে (০) হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে যায় রাজস্থান। কারণ, ১০.২ ওভারে স্টোকস যখন আউট হন দলটির সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৭৩। রানের গতি ভালো ছিল না। পরে সেটি আর পুষিয়ে নিতে পারেনি রাজস্থান।
জয়ের জন্য শেষ ৫ ওভারে ৫০ রান দরকার ছিল রাজস্থানের। শেষ অবধি রাহানে খেলে গেলেও ম্যাচ জেতাতে পারেননি। ৫৩ বল খেলে তিনি ৬৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। তবে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্যাটিংটা ভালো হয়নি হায়দরাবাদের। দলটির মিডল অর্ডার নিয়ে সমস্যা রয়েই গেছে। ৪৩ বলে ৬৩ রান করেন অধিনায়ক উইলিয়ামসন। ৩৯ বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেলেছেন অ্যালেক্স হেলস। সাকিব ব্যাট হাতে ৬ বলে ৬ রানের বেশি করতে পারেননি।
বিশেরবাঁশী ডেস্ক/সংবাদদাতা/মিতু