শনিবার ৭ বৈশাখ, ১৪৩১ ২০ এপ্রিল, ২০২৪ শনিবার

নিখোঁজের ১৯ ঘণ্টা পর ফরহাদ মজহার উদ্ধার

  • অনলাইন ডেস্ক

রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হওয়ার প্রায় ১৯ ঘণ্টা পর যশোরের শিল্পশহর নওয়াপাড়া থেকে উদ্ধার হয়েছেন লেখক, কবি, বুদ্ধিজীবী ও কলামিস্ট ফরহাদ মজহার। সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নওয়াপাড়া বেঙ্গল টেক্সটাইল মিলের সামনে ঢাকাগামী হানিফ পরিবহনের একটি বাস থেকে তাকে উদ্ধার করে র‌্যাব। বাসটি খুলনা থেকে ছেড়ে আসে। পরে তাকে স্থানীয় অভয়নগর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে রাতেই কড়া প্রহরায় তাকে পার্শ্ববর্তী ফুলতলা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

এর আগে ভোরে রাজধানীর শ্যামলী এলাকায় নিজ বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ ছিলেন ফরহাদ মজহার। প্রথম থেকেই নিখোঁজের ঘটনাটিকে পুলিশ রহস্যজনক মনে করলেও ফরহাদ মজহারকে অপহরণ করা হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন তার পরিবারের সদস্যরা।

র‌্যাব-২ এর উপ-অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ আলী যুগান্তরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, রাতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে।

উদ্ধারের পর রাত সোয়া ১টার দিকে খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি দিদার আহমেদ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, প্রাথমিকভাবে আমাদের মনে হয়েছে, তিনি ঢাকা থেকে স্বেচ্ছায় খুলনায় ভ্রমণ করেন। তবে এখনই এ বিষয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না। তাকে ঢাকায় এনে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

এদিকে সোমবার ভোরে নিখোঁজের পর থেকে সর্বশেষ রাত ৮টা পর্যন্ত পরিবারের সদস্যদের কাছে ৫ থেকে ৭ দফায় ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন পরিবারের সদস্যরা। প্রথমে ৩৫ লাখ টাকা চাইলেও অপহরণকারীরা রাতে তা কমিয়ে মুক্তিপণ বাবদ ২০ লাখ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। একই ফোন থেকে ফরহাদ মজহারও কয়েক দফায় তার স্ত্রী ফরিদা আক্তারের সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে এসব ফোন করা হয়েছে ফরহাদ মজহারের ফোন থেকেই। আর কথা বলার পরপরই বন্ধ করে দেয়া হয় মোবাইল ফোনটি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মোবাইল ফোনটি ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে ফরহাদ মজহারের সর্বশেষ অবস্থান খুলনায় বলে নিশ্চিত হয়। এমনকি রাত ৮টা ২০ মিনিটে খুলনা নিউমার্কেট সংলগ্ন ‘গ্রিল হাউস’ নামে একটি রেস্টুরেন্টে ফরহাদ মজহারকে রাতের খাবার গ্রহণ করতেও দেখা গেছে। রেস্টুুরেন্টের মালিক আবদুল মান্নান জানান, রাত ৮টা ২০ মিনিটে ফরহাদ মজহার তার রেস্টুুরেন্টে আসেন। পরে টেলিভিশনে খবর দেখে তিনি বিষয়টি র‌্যাবকে অবহিত করেন। এরপরই র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সেখানে যান।

সংবাদ সম্মেলন : উদ্ধারের দেড় ঘণ্টা আগে ফরহাদ মজহারের শ্যামলীর বাসায় সংবাদ সম্মেলন করে পরিবারের সদস্য এবং বন্ধুরা। সোমবার রাত ১০টায় সংবাদ সম্মেলন করে তারা আশা প্রকাশ করে বলেছেন, আমরা সরকারকে দোষারোপ করছি না। আবেদন জানাচ্ছি, ফরহাদ মজহারকে অক্ষত ফিরিয়ে দিতে।’

ফরিদা আখতার বলেন, দ্বিতীয়বার কল আসে সকাল ৬টা ২১ মিনিটে। ওই কলে ৩৫ লাখ টাকা দাবি করা হয়। এরপর সারাদিনে ছয়বার কল এসেছে। প্রতিবারই টাকা চাওয়া হয়। সর্বশেষ কলটি আসে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায়।

এর আগে প্রযুক্তির সহায়তায় নিশ্চিত হওয়ার পর সোমবার বিকাল থেকেই পুলিশ ও র‌্যাবসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা খুলনার কেডিএ এভিনিউয়ের বেশ কয়েকটি বাড়িতে অভিযান চালায়। নিখোঁজের কয়েক ঘণ্টা পর সোমবার দুপুরে ফরহাদ মজহারের স্ত্রী ফরিদা আক্তার যুগান্তরকে জানান, ‘ভোররাতে তার স্বামী শ্যামলীর রিং রোডের হক গার্ডেনের নিজ বাসা থেকে বের হন। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। ফরিদা আক্তার আরও বলেন, প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে তিনি নিজ কম্পিউটারে বসে কাজ করে থাকেন। এটি তার (ফরহাদ মজহার) দীর্ঘদিনের অভ্যাস। তিনি আরও জানান, সোমবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে তিনি ঘুম থেকে উঠে স্বামী ফরহাদ মজহারকে কম্পিউটারে কাজ করতে দেখেন। এরপর তিনি ফরিদা আক্তার) আবারও ঘুমিয়ে পড়েন। ফরিদা আক্তার জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নিজের মোবাইল ফোন থেকে ফরহাদ মজহার তাকে (ফরিদা আখতার) ফোন করে অপহরণের বিষয়টি জানান।

ওই সময় তিনি বলেন, ‘ওরা আমাকে নিয়ে যাচ্ছে। ওরা আমাকে মেরে ফেলবে।’ অপহরণকারীরা মুক্তিপণ বাবদ ৩৫ লাখ টাকা দাবি করছে বলেও ফরহাদ মজহার তার স্ত্রী ফরিদা আক্তারকে জানান।

তিনি (ফরিদা আক্তার) বলেন, ‘কথা শেষ হওয়ার আগেই কেউ একজন তার (ফরহাদ মজহার) হাত থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়।’ এমনকি কে বা কারা তাকে অপহরণ করেছে, কীভাবে কার কাছে টাকা দিতে হবে- সে বিষয়েও তার স্বামী কিছু জানাতে পারেননি। এরপর থেকেই তার স্বামীর মোবাইল ফোনটি বন্ধ রয়েছে বলে জানান ফরিদা আক্তার।

ফরহাদ মজহারকে উদ্ধারে একযোগে কাজ শুরু করেছে পুলিশ ও সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। প্রযুক্তির সহায়তায় গোয়েন্দারা ফরহাদ মজহারের সর্বশেষ অবস্থান খুলনার কেডিএ এভিনিউ বলে জানতে পেরেছে। এ তথ্য পাওয়ার পরপরই খুলনা মেট্রোপলিটন এলাকায় কড়া নজরদারি শুরু করে পুলিশ। খুলনার প্রবেশপথগুলোয় বসানো হয় তল্লাশি চৌকি। সন্ধ্যায় খুলনার কেডিএ এভিনিউয়ে একটি বাড়িতে তল্লাশিও করে পুলিশ। এ ঘটনায় রাজধানীর আদাবর থানায় পুলিশের পক্ষ থেকে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর ফরহাদ মজহারের বাসার সামনে ও আদাবর রিং রোডের বিভিন্ন ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় ধারণকৃত ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। আদাবর থানার ওসি শাহীনুর রহমান যুগান্তরকে জানান, সকাল ১০টার দিকে ফরহাদ মজহারের পারিবারিক বন্ধু পরিচয় দিয়ে গৌতম দাস থানায় এসে বিষয়টি জানান। এরপরই তিনি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন এবং শ্যামলীর রিং রোডের ফরহাদ মজহারের বাসা হক গার্ডেনে ছুটে যান।

পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) বিপ্লব কুমার সরকার যুগান্তরকে বলেন, খবর পাওয়ার পর থেকেই পুলিশ ফরহাদ মজহারকে উদ্ধারে ব্যাপক তৎপরতা শুরু করে। তিনি বলেন, ফরহাদ মজহারের বাড়ির সামনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে ভোর ৫টা ৫ মিনিটে তাকে স্বাভাবিক পোশাকে হেঁটে বাসা থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা গেছে। তার পরিবারের দেয় তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ কর্মকর্তা বিপ্লব সরকার বলেন, ফরহাদ মজহার খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠেন। তবে এত ভোরে তিনি কখনও বাসা থেকে বের হন না। তিনি সাধারণত সকাল ৮টা থেকে ১০টার পরই বাসার বাইরে যান। বিপ্লব কুমার বলেন, অপহরণের অভিযোগ ওঠায় থানা পুলিশ ছাড়াও বিভিন্ন সংস্থা প্রযুক্তির সহায়তায় ফরহাদ মজহারের অবস্থান জানার চেষ্টা করে। মোবাইল ফোন বন্ধ থাকলেও প্রযুক্তির সহায়তায় ফরহাদ মজহারের ফোন ট্র্যাক করে তার অবস্থান কখনও আরিচা, ফরিদপুর বা কখনও মাগুরায় বলে জানা যায়। পুলিশ কর্মকর্তা বিপ্লব সরকার আরও বলেন, দ্রুত অবস্থান পরিবর্তন হওয়ায় তাকে খুঁজে পেতে ওই সড়কে বিভিন্ন থানায় বার্তা পাঠিয়ে সন্দেহভাজন গাড়িতে তল্লাশি চালানোর জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়। ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার আরও বলেন, ফরহাদ মজহার সাধারণত যে মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন, সোমবার সকালে বাসা থেকে বের হওয়ার সময় তিনি সেটি নিয়ে যাননি। আরেকটি সেট নিয়ে গেছেন, যেটি মাঝেমধ্যে ব্যবহার করতেন তিনি।

৭০ বছর বয়সী ফরহাদ মজহার একাধারে লেখক, কবি, বুদ্ধিজীবী ও কলামিস্ট হিসেবে পরিচিত। তবে হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে সম্পৃক্ততা নিয়ে বাম দলগুলোর সমালোচনা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। শাহবাগের ওই আন্দোলনের বিরোধিতাকারী হেফাজতে ইসলামের পক্ষে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বক্তব্য দিতেও দেখা গেছে তাকে। ২০১৩ সালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে শাহবাগে গড়ে ওঠা গণজাগরণ আন্দোলনের সমালোচক ফরহাদ মজহার বিভিন্ন বক্তব্যের জন্য আলোচিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফার্মেসিতে পড়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে অর্থনীতিতে ডিগ্রি নেন ফরহাদ মজহার। দেশে ফিরে তিনি উবিনীগ নামে একটি এনজিও গড়ে নয়াকৃষি আন্দোলন শুরু করেন। চিন্তা নামে একটি পত্রিকার সম্পাদক দীর্ঘকেশী ফরহাদ মজহার সব সময় লুঙ্গি পরে থাকেন, যা নিয়েও রয়েছে আলোচনা। ফরহাদ মজহারের অপহরণের ঘটনায় নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও দেশের বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীরা। লেখক, কবি, বুদ্ধিজীবী ও কলামিস্ট ফরহাদ মজহারকে দ্রুত উদ্ধারের দাবিতে সোমবার রাজধানীতে মানববন্ধনও হয়েছে।

খুলনায় তল্লাশি : খুলনা ব্যুরো জানায়, নগরীর শিববাড়ী মোড় সংলগ্ন ইব্রাহিম মিয়া সড়কে (জমিদার বাড়ি লেন) কবি, লেখক, কলামিস্ট ফরহাদ মজহারের অবস্থান রয়েছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে তল্লাশি চালায় র‌্যাব, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা। সোমবার বিকাল ৪টা থেকে মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে ফরহাদ মজহারের ব্যবহৃত রবির মোবাইল নম্বরটির লোকেশন ওই এলাকায় রয়েছে এমন তথ্য পাওয়ার পর থেকে ওই সড়কের দুই প্রান্তে পাহারা বসিয়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। পুলিশ, ডিবি, র‌্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার শতাধিক সদস্যের খণ্ড খণ্ড টিম সড়ক সংলগ্ন সব বাড়িতে তল্লাশি চালায়। সন্ধ্যার আগে ইব্রাহিম মিয়া সড়কের চিত্রনায়িকা পপির বাড়ির সামনে থেকে একটি সাদা মাইক্রোবাস উদ্ধার করেছে পুলিশ। নগর ডিবির সহকারী কমিশনার এএম কামরুল ইসলাম জানান, নগরীর প্রবেশপথগুলোতে তল্লাশি, বিভিন্ন যানবাহন ও ফরহাদ মজহারের মোবাইল ফোনের লোকেশন অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট এলাকায় বাড়ি বাড়ি অভিযান চালানো হয়। নায়িকা পপির বাড়ির সামনে থেকে একটি মাইক্রোবাস পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে। তবে এটি ফরহাদ মজহারের অপহরণে ব্যবহৃত কিনা তা নিশ্চিত নয়। তিনি বলেন, ফরহাদ মজহারের ব্যবহৃত রবি নম্বরের লোকেশন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায় তার অবস্থান খুলনার শিববাড়ীতে।

খালেদা জিয়ার টুইট : ফরহাদ মজহার উদ্ধার হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এক টুইট বার্তায় বলেছিলেন, ফরহাদ মজহারকে এখনই পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিন। তার কিছু হলে এর দায়-দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে।

এ ঘটনায় সরকারের ‘কোনো এজেন্সি’ জড়িত -বিএনপি : ফরহাদ মজহারকে অপহরণের ঘটনার সঙ্গে সরকারের ‘কোনো এজেন্সি’ জড়িত বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। সোমবার বিকালে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, ‘এ দেশের প্রখ্যাত কলামিস্ট, গবেষক, কবি এবং প্রতিথযশা বুদ্ধিজীবী ফরহাদ মজহার ভোর ৫টায় তার বাসা থেকে বেরোনোর কিছুক্ষণ পরেই তাকে অপহরণ করা হয়েছে। পরিবার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করে যে তথ্য পেয়েছি, তা হৃদয়বিদারক, অমানবিক এবং সারা জাতির জন্য ভীতি ও শঙ্কার। আমরা যেটা মনে করি, সরকারের অজান্তে এ ঘটনা ঘটেনি। সরকারের কোনো এজেন্সি বা কোনো টিম এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত। আমি বিএনপির পক্ষ থেকে এই ঘৃণ্য অপহরণের ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং অবিলম্বে তাকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।’

রিজভী অভিযোগ করে বলেন, ফরহাদ মজহারের মতো একজন বিদগ্ধ মানুষ, শুভচিন্তক মানুষ এই দুর্বিষহ দুঃসময়ের মধ্যেও যার ক্ষুরধার লেখনী আজকের সংগ্রামরত-আন্দোলনরত মানুষকে উদ্বুদ্ধ করছে, তাকে এমনি সামাজিক কোনো মুক্তিপণের আদায়ে কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী, অপহরণকারী গোষ্ঠী এটা করতে পারে না। সরকার তার যে লেখনী, তার যে চিন্তা, তার যে মনন, এটিকে ভয় পেয়ে অনেকদিন ধরেই মনে হয় টার্গেট করেছিল, আজকে সেই টার্গেটটা সম্পন্ন করার তারা চেষ্টা চালিয়েছে। আমরা মনে করি, এই অপহরণের উদ্দেশ্য হচ্ছে আর যাতে কেউ কলম না ধরতে পারে, আর যাতে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে না পারে। আমি আবারও বলছি, ফরহাদ মজহারকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিন। নইলে এ দেশের মানুষ ক্ষোভে প্রতিবাদে ফেটে পড়বে।

অপহরণের জন্য সরকারের কোন এজেন্সিকে আপনি সন্দেহ করছেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা তো আমরা বলতে পারব না। এ ধরনের ঘটনাগুলো আমরা এর আগেও দেখেছি। এম ইলিয়াস আলী, সাইফুল ইসলাম হীরু, চৌধুরী আলমের অপহরণের ন্যাচারটা এই রকম ছিল।’

বি.বা/ডেস্ক/ক্যানি

Categories: জাতীয়

Leave A Reply

Your email address will not be published.