শুক্রবার ৬ বৈশাখ, ১৪৩১ ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ শুক্রবার

মশার আক্রমণ থামছে না

বিষেরবাঁশী ডেস্ক: প্রতি বছরই মশা নিধনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিপুল পরিমাণে অর্থ বরাদ্দ করা হয়। এ বছরও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। কিন্তু এরপরও দেখা যাচ্ছে, দেশে মশার উপদ্রব থামছে না। মশা নিধনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদ্যোগও সফলতা পাচ্ছে না। আলোকিত বাংলাদেশের এক প্রতিবেদনে প্রকাশ, সম্প্রতি সিলেট নগরীতে আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে মশার উপদ্রব। মশার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে দিনের বেলায় বন্ধ রাখতে হচ্ছে বাসাবাড়ির দরজা-জানালা। মশারি টানিয়ে, কয়েল জ্বালিয়ে এবং ওষুধ ছিটিয়েও রক্ষা হচ্ছে না। মশার কামড়ে অনেকে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। অভিজাত এলাকা থেকে শুরু করে নিম্নবিত্ত বস্তি এলাকা সবখানেই মানুষ অতিষ্ঠ মশার উপদ্রবে। এ অবস্থা যে শুধু সিলেটেই তা নয়, রাজধানী শহর ঢাকায়ও চলছে মশার উৎপাত। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই মশার অত্যাচারে অতিষ্ঠ।

বছরের এ সময়টায় মশার উপদ্রব বাড়তে পারে, এমনটা আগাম বিবেচনা করে বছরের শুরুতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মশা নিধনে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের বার্তা দিয়েছিলেন, যা রাজধানীবাসীর মধ্যে স্বস্তির সৃষ্টি করেছিল। অথচ কার্যত দেখা যাচ্ছে, মশা নিধনে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন বিভিন্ন উদ্যোগ নিলেও কমছে না মশা। মশা নিধনে কর্মীরা নিয়মিত ওষুধ ছিটাচ্ছে; কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। প্রকাশ যে, রাজধানীর বিভিন্ন অঞ্চলে বিকট শব্দ তুলে মশা মারার জন্য ফগার মেশিনে ওষুধ দেওয়া হয়। কিন্তু মেশিন থেকে শুধু ধোঁয়াই বের হয়, মশা মরে না। মশা নিধনে যে ওষুধ ছিটানো হচ্ছে তা আদৌ নির্ভেজাল কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে জনমনে। এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক জরিপে রাজধানীর কলাবাগানকে চিকুনগুনিয়া বিস্তারের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সংগত কারণেই সাধারণ মানুষের মধ্যে বাড়ছে চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়া বা ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত বিভিন্ন রোগ ছড়িয়ে পড়ার আতঙ্ক।

এ অবস্থায় খতিয়ে দেখা দরকার, মশা নিধনে নিয়মিত মশার ওষুধ দেওয়াসহ পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণের পরও কেন মশা নিধন করা সম্ভব হচ্ছে না। সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলব ঢাকা-সিলেটসহ দেশের সর্বত্র মশা নিধনে অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা নিন। সুত্র: আ, বা

বিষেরবাঁশী ডেস্ক/সংবাদদাতা/মিতু

Categories: স্বাস্থ্য

Leave A Reply

Your email address will not be published.