শুক্রবার ৬ বৈশাখ, ১৪৩১ ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ শুক্রবার

না’গঞ্জে শুভ্র হত্যাকাণ্ডঃ রিমান্ডে মুখ খোলেনি কেউ, এজাহারভুক্ত ৪ আসামি এখনও পলাতক

  •   নিজস্ব সংবাদদাতা
নারায়ণগঞ্জের মাসদাইরের প্লামি ফ্যাশনে মার্চেন্ডাইজার শাখাওয়াত হোসেন শুভ্র হত্যাকাণ্ডে এজাহারভুক্ত চার আসামিকে ১৫ দিনেও পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ৩ আসামিও রিমান্ডে মুখ খুলেনি।
এছাড়া আসামি জামাই মিলন (৩২), সমীর (৩০) কাউছার (৩৪) ও বশির (৩১) পলাতক রয়েছে।
মামলার অন্যান্য আসামীরা হলো দেওভোগ আখড়ার গনেশ সাহার বাড়ির ভাড়াটিয়া দানেস সাহার ছেলে বাবুল সাহা জীবন (৩৩), মাসদাইর তালা ফ্যাক্টরীর আমির হোসেনের ছেলে নাজমুল ইসলাম (২৮), জামতলা হীরা কমিউনিটি সেন্টার এলাকার গোপাল চন্দ্র দাসের ছেলে সঞ্জয় দাস ওরফে মনা (৩০), মাসদাইর তালা ফ্যাক্টরির তোতা মিয়ার মেয়ের জামাই মিলন (৩২), একই এলাকার বশির (৩১), মাসদাইর বাজার পাবনা পট্টির যতীন্দ্র’র ছেলে সমীর (৩০) শহরের খানপুর মেইন রোডের ডন চেম্বার এলাকার মৃত ডাক্তার মো: হামিদের ছেলে কাউছার (৩৪) সহ অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩জন।
নিহত শুভ্রর বাবা শাহাদাত হোসেন শিকদার জানান, ১৫ আগস্ট বিকেলে মাসদাইর আদর্শ স্কুলের উত্তর পাশের মায়ের আচল নামক নির্মাণাধীন ১২ তলা বাড়ির ৭ম তলায় ডেকে নিয়ে উল্লেখিতরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে শুভ্রকে ছুরিকাঘাত ও শ্বাসরোধে হত্যা করে। এরপর হত্যাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য শুভ্র’র লাশ শহরের খানপুর হাসপাতালে ফেলে পালিয়ে যায় খুনিরা।
পরে ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে শুভ্র’র মৃত দেহ রাত ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জ ৩শ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের জরুরী বিভাগে রেখে চলে যায়। পরে তানি নামে এক লোক যার মোবাইল নং-০১৬৮৬৯১০২৬৮ নাম্বার হতে শুভ্র ছোট ভাই সৌরভকে ফোন করে জানায়, তোমার ভাই হাসপাতালে আছে। এমন সংবাদ পেয়ে সকল আত্মীয় স্বজন হাসপাতালে ছুটে গিয়ে শুভ্রকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসাপাতালে প্রেরণ করে।
আটকদের মধ্যে বাবুল সাহা জীবনের কাছ থেকে শুভ্র’র মোবাইল সেট, মানি ব্যাগ উদ্ধার করেছে পুলিশ। কিন্তু শুভ্রর ব্যবহৃত মোবাইলের সিম, মেমোরি কার্ড ও মানি ব্যাগে থাকা টাকা উদ্ধার করা হয়নি।
তিনি আরো জানান, সম্প্রতি তিনজনকে রিমান্ডে আনলেও তারা মুখ খুলেনি। রিমান্ড শেষে তাদের হাজতে রাখতে আদালতে আবেদন করেছে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার এসআই তুষার কান্তি দাস জানান, গ্রেফতার ৩ জন আসামিকে ৩ দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে ২৭ আগস্ট ফের আদালতে পাঠানো হয়েছে। রিমান্ডে তারা কিছু তথ্য দিয়েছে তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এছাড়া পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, শাহাদাত হোসেন শুভ্র মাসদাইর নিবাসী শাহাদাত হোসেন শিকদারের বড় ছেলে সাউথ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ শেষ করে সদ্য বিবাহ বন্ধনে আবধ্য হয়েছিল। সে ফতুল্লার উত্তর নরসিংপুর এলাকাতে অবস্থিত রপ্তানিমুখী গার্মেন্ট কারখানা প্লামি ফ্যাশনে মার্চেন্ডাইজার হিসেবে কর্মরত ছিল।
বি.বা/সিএ/ক্যানি

Categories: অপরাধ ও দুর্নীতি,নারায়ণগঞ্জের খবর

Leave A Reply

Your email address will not be published.