শুক্রবার ৬ বৈশাখ, ১৪৩১ ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ শুক্রবার

ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা

  • সূত্রঃ চ্যানেল আই

২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথমার্ধের (জুলাই-ডিসেম্বর) জন্য ঘোষিত মুদ্রানীতিতে সামগ্রিকভাবে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা কমানো হয়েছে। গত অর্থবছরের শেষার্ধের মুদ্রানীতিতে অভ্যন্তরীন খাতে যেখানে ঋণের প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয়েছিল ১৬ দশমিক ৪০ শতাংশ, সেখানে নতুন মুদ্রানীতিতে তা ০.৬০ শতাংশ কমিয়ে ১৫ দশমিক ৮০ শতাংশ করা হয়েছে।

বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর ফজলে কবির এই মুদ্রানীতি ঘোষণা করেন।

বেসরকারি খাতকে তিনি ব্যাপক উৎসাহ দিতে চান উল্লেখ করে গভর্নর বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই বিনিয়োগ একটা জায়গাতে আটকে থাকার কারণে বিনিয়োগের মন্দা কাটছে না। ফলে ব্যাংকগুলোতে প্রচুর অলস অর্থ পড়ে আছে। সেসব অর্থ বেসরকারি খাতের জন্য উত্তম জায়গা।

এসময় নতুন উদ্যোক্তা তৈরিতেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

ব্যাংক ঋণে সুদহার সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা ঠিক যে, আমানতের সুদ হার কমে যাওয়ায় মানুষ আমানত বিমুখ হচ্ছে, মানুষের সঞ্চয় প্রবণতা কমছে।’

মুদ্রানীতির কারণে পুঁজিবাজারে কোন ধরণের প্রভাব পড়বে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুঁজিবাজার নিয়ে বিএসইসি কাজ করছে। তবে মুদ্রানীতির কোনো প্রভাব বাজারে পড়বে বলে মনে হয় না। তারপরেও কোন প্রতিষ্ঠানের সমস্যা হলে সেটা তখন বিবেচনা করা হবে।

নতুন মুদ্রানীতিতে সামগ্রিক ঋণ প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ধরা হয়েছে। সর্বশেষ মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছিল ১৬ দশমিক ৫০ শতাংশ। নতুন মুদ্রানীতিতে এটি ২ শতাংশ কমিয়ে ১৬ দশমিক ৩০ শতাংশ করা হয়েছে।

২০১৭ সালের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ের জন্য সরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ১২ দশমিক ১০ শতাংশ। সর্বশেষ মুদ্রানীতিতে এই খাতে প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছিল ১৬ দশমিক ১০ শতাংশ। মূলত ঋণের চাহিদা কমে যাওয়ার কারণেই প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা আগের চেয়ে নামিয়ে আনা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ের মুদ্রানীতিতে অভ্যন্তরীন ঋণের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ১৬ দশমিক ৪০ শতাংশ ধরা হলেও মে পর্যন্ত বাস্তব প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ১১ দশমিক ৩০ শতাংশ। অন্যদিকে বেসরকারি খাতে ১৬ দশমিক ৫০ শতাংশ ধরা হলেও গত মে মাস পর্যন্ত সময়ে প্রবৃদ্ধি হয় ১৬ শতাংশ। সরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধিও ছিল লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক পিছিয়ে।

চলতি অথর্বছরের জন্য গড় বার্ষিক ভোক্তামূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৫ শতাংশ পরিমিত রাখা ও ৭ দশমিক ৪ শতাংশ প্রকৃত দেশজ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের বিবেচনায় রেখে মুদ্রানীতি প্রস্তুত করা হয়েছে।

 

বি.বা/ডেস্ক/ক্যানি

Categories: অর্থনীতি

Leave A Reply

Your email address will not be published.