শুক্রবার ৬ বৈশাখ, ১৪৩১ ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ শুক্রবার

সেলিম ওসমানকে নিজের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে বলেছেন আওয়ামী লীগ নেতা আরজু

  • অনলাইন ডেস্ক

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানকে নিজের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে বলেছেন আওয়ামী লীগ নেতা আরজু রহমান ভুইয়া। প্রমাণ দিতে না পারলে সাংসদকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহবান জানান সরকারী তোলারাম কলেজের সাবেক এই ভিপি।

সেলিম ওসমানের বক্তব্যের বরাত দিয়ে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় ‘স্কুলের টাকা চুরি করে তার সাথে মালয়েশিয়া গেল কি করে, মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনকে প্রশ্ন করেন’- শিরোনামের খবরের প্রতিবাদে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান আরজু রহমান ভুইয়া।

সেলিম ওসমানকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমার পিতা প্রতিষ্ঠিত মদনপুর রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দীর্ঘদিন সভাপতির দায়িত্বে ছিলাম। গত দুই বছর যাবৎ বিদ্যালয়টির সভাপতির পদে আমি নেই। কয়েকটি পত্রিকার নিউজ অনুযায়ী বন্দরের সুরুজ্জামান টাওয়ারে অবস্থিত রাত্রী কমিউনিটি সেন্টারে জাতীয় পার্টির নেতা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সমাবেশে মাননীয় সংসদ সদস্য এ কে এম সেলিম ওসমান ‘স্কুলের টাকা চুরি করে তার সাথে গমন’ এই উক্তি করেন। মাননীয় সাংসদ আপনাকে অনুরোধ করবো আপনি একটি সম্মানিত পরিবারের সদস্য। আপনি নারায়ণগঞ্জের আরেকটি সম্মানিত পরিবারের সদস্যের সাথে শালিন আচরন করুন। আমি সংসদ সদস্য এ কে এম সেলিম ওসমানকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে চাই আপনি স্কুলের টাকা চুরি প্রমাণ করুন। আপনার বক্তব্যের সত্যতা প্রমাণ করুন। আর যদি না পারেন তাহলে প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা করুন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমি আরজু রহমান ভূইয়া বৃটিশ ভারত ও তৎকালীন পাকিস্তান আমলের নারায়ণগঞ্জের প্রখ্যাত পাট ব্যবসায়ী এ আর ভূইয়া সাহেবের কনিষ্ট সন্তান। আমার পিতার সর্ম্পকে আপনার দাদা মরহুম খান বাহাদূর ওসমান আলী সাহেব অবগত ছিলেন। আপনার পিতা স্বাধীনতা যুদ্ধের সংগঠক, স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত মরহুম এ কে এম সামসুজ্জোহা সাহেব আমার ভাই সাবেক এমপি আব্দুস সাত্তার ভূইয়া (বাদশা) সম্পর্কে অবগত ছিলেন। আব্দুস সাত্তার ভূইয়া বাংলাদেশের সংবিধানের অন্যতম স্বাক্ষরদাতা।

আমার আরেক ভাই নাজিম উদ্দিন ভূইয়া একজন শিক্ষানুরাগী, নাজিম উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের প্রতিষ্ঠাতা যা নারায়ণগঞ্জবাসী অবগত আছেন। তিনি দীর্ঘ চল্লিশ বছর মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন।

আমার পিতা মরহুম এ আর ভূইয়া নারায়ণগঞ্জের মদনপুরের রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, মদনপুর ১৮ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিবি মরিয়ম উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় (রহমত উল্লাহ একাডেমী), নারায়ণগঞ্জ শহরের বি দাস রোডে অবস্থিত আল আকসা জামে মসজিদ এবং মদনপুর বড় সাহেব বাড়ি জামে মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন।

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার পর বাঙ্গালী মুসলমান হিসেবে নারায়ণগঞ্জের টানবাজারে এ আর ভূইয়া জুট প্রেস ট্রাষ্ট প্রতিষ্ঠা করেন। তৎকালীন নারায়ণগঞ্জ শহরের শতাধিক দ্বিতল বাড়ির মালিক ছিলেন তিনি।

তিনি বলেন, আমি আরজু রহমান ভূইয়া ১৯৭৩ সন থেকে আমার বড় ভাই সাবেক এমপি আব্দুস সাত্তার ভূইয়ার অনুপ্রেরণায় ছাত্ররাজনীতির মধ্য দিয়ে ১৯৭৩ সনে নারায়ণগঞ্জ শহর ছাত্রলীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। ১৯৭৮ সনে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলাম। ১৯৭৮ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত সরকারি তোলারাম কলেজের ভিপি ছিলাম। ১৯৮৪ সালে বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৮৬ সালে জেলা আওয়ামীলীগের সমাজ কল্যাণ সম্পাদক নির্বাচিত হই। ১৯৯০ সালে আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী হিসেবে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। ১৯৯১ সালে বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি নির্বাচিত হই। ১৯৯২ সালে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক ও ১৯৯৭ সালে জেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মনোনিত হই।

সিএ/ক্যানি

Categories: রাজনীতি,সারাদেশ

Leave A Reply

Your email address will not be published.