মঙ্গলবার ৫ চৈত্র, ১৪৩০ ১৯ মার্চ, ২০২৪ মঙ্গলবার

সৎমেয়েকে ধর্ষণ: অপরাধ স্বীকার করল সুমন

  • সূত্রঃ চ্যানেল আই

আট বছর ধরে সৎমেয়েকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে সৎবাবা আরমান হোসেন ওরফে সুমন (৩৮) স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

ঢাকার অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার আনিসুর রহমান চ্যানেল আই অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম আহসান হাবীবের আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া এই জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

এদিন দ্বিতীয় দফায় দুই দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং বিভাগের পরিদর্শক নাজমুল নিশাত ।

এর আগে গত রোববার প্রথম দফা রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ফের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার বিবরণে বলা হয়, মেয়েটির বাবার সঙ্গে মায়ের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। ২০০৫ সালে আরমান হোসেনকে বিয়ে করে তার মা। দ্বিতীয় বিয়ের এক বছর পর থেকে মায়ের কাছে থাকা শুরু করে মেয়েটি। চাকরির কারণে মেয়েটির মা মোহাম্মদপুরের নুরজাহান রোডের বাড়ি থেকে সকালে কর্মস্থলে চলে যেতেন।

‘২০০৮ সালের কোনো একদিন দুপুরে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েটিকে আরমান প্রথম ধর্ষণ করে। এ সময় মেয়েটির আপত্তিকর ছবি মোবাইলে তুলে রাখে আরমান। ছবি ও ভিডিও প্রকাশের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আরমান এরপর থেকে প্রায়ই ধর্ষণ করে আসছিল বলে অভিযোগ করে মেয়েটি।’

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১৫ সালে মেয়েটি সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়লে তার গর্ভপাত ঘটায়। এরপরও তার ওপর নির্যাতন চালিয়ে যায় আরমান। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে ওই মেয়ে তার এক নিকটাত্মীয়ের বাড়িতে চলে যায়। সেখানেও কুপ্রস্তাব পাঠাতে থাকে আরমান। এতে রাজি না হওয়ায় মেয়েটির এক বন্ধুকে ভিডিও ও অডিও ক্লিপ পাঠায় আরমান। এ ছাড়া আরমানের বিরুদ্ধে ফেসবুকে দুটি নকল আইডি খুলে মেয়েটি তার ছবিযুক্ত করার অভিযোগ আনেন।

আরমান হোসেন একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের শব্দ প্রকৌশলী। তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ও তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায়ও অভিযোগ আনা হয়েছে।

বি.বা/ডেস্ক/ক্যানি

Categories: অপরাধ ও দুর্নীতি

Leave A Reply

Your email address will not be published.