বিষেরবাঁশী ডেস্ক: বরিশালের বানারীপাড়ায় স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করেছেন এ মামলার প্রধান আসামি ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সুমন হোসেন মোল্লা। রোববার রাতে গ্রেফতারের পর পুলিশের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন তিনি।
সোমবার বরিশালের আমলি আদালতের বিচারক মো. সিহাবুল ইসলাম সুমন মোল্লার জবানবন্দি রেকর্ড করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
অপরদিকে ওই গৃহবধূকে ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করার পাশাপশি আদালতে জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রুহুল আমিন জানান, রোববার রাত ৯টায় জেলা এসপি, ডিএসবি ও ডিবি পুলিশের সহায়তায় ছাত্রলীগ নেতা সুমনকে বরিশাল মহানগরীর কালীবাড়ি সড়ক থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ডিবি কার্যালয়ে সুমন গৃহবধূকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন।
প্রসঙ্গত, উপজেলার এক অটোরিকশাচালক তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে (১৯) নিয়ে বুধবার সকালে নানা শামসুল হকের বাড়িতে বেড়াতে যান। ম্যারেজ রেজিস্ট্রির কাগজপত্র আছে কী না তা জানতে চেয়ে শনিবার গভীর রাতে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সুমন মোল্লাসহ ৪-৫ জন তাদেরকে আহম্মদাবাদ বেতাল ক্লাবে ডেকে নিয়ে যায়।
পরে রাত ১টায় স্বামীকে আটক রেখে সুমন মোল্লা স্ত্রীকে পার্শ্ববর্তী বিধবা আনোয়ারা বেগমের বসত ঘরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় রোববার মামলা দায়েরের পর রাতে সুমনকে গ্রেফতার করা হয়।
বিষেরবাঁশী ডেস্ক/সংবাদদাতা/হৃদয়