- অনলাইন ডেস্ক
ত কয়েক মাসের মধ্যে চিকুনগুনিয়ায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে মে মাসে। তখন রাজধানীর ঘরে ঘরে জ্বরে আক্রান্তদের ৬০ ভাগই ছিলো চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত। চিকিৎসকরা বলছেন, চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্তদের ৪০ শতাংশ ব্যাথার কারণে আবারও চিকিৎসকের শরনাপন্ন হচ্ছেন।
অন্য অনেকের মতো চল্লিশোর্ধ্ব নুরজাহান রোজার আগে চিকুনগুনিয়াতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। বাসাবাড়িতে কাজ করা এই শ্রমজীবী এ কারণে ১৫ দিন কাজে যেতে পারেননি। তবে এরপর থেকে কাজে যোগ দিলেও এখনও তিনি পুরোপুরি সুস্থ নন।
একইভাবে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মাইনুল হক জ্বরে ভোগার দিনগুলো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সময় দিতে পারেনি। ওই সময় তিনি ধার কর্জ করে চলেছেন। শরীর ঠিক না হওয়ায় এখনও তিনি পুরোপুরি রোজগারে নামতে পারেননি।
জাতীয় চিকুনগুনিয়া চিকিৎসা গাইড লাইন প্রনয়ণ কমিটির সম্বনয়কারী অধ্যাপক ডাঃ অনুপ কুমার সাহা বলছেন, পরীক্ষা করে চিকুনগুনিয়া সনাক্ত করা জরুরী নয়। তবে দীর্ঘ মেয়াদে জয়েন্টে ব্যাথা থাকলে অন্য বাতজ্বর থেকে আলাদা করার জন্য রক্তের সিবিসি পরীক্ষাই যথেষ্ট।
চিকুনগুনিয়া সনাক্তে একমাত্র পরীক্ষা ‘আরটি-পিসিআর’ হয় সরকারের রোগতত্ত্ব রোগ নির্ণয় ও গবেষনা প্রতিষ্ঠান-আইইডিসিআরে। প্রতিষ্ঠানটি বিনামূল্যে পরীক্ষা করলেও তা ব্যয়বহুল। এর বাইরে বেসরাকারী পর্যায়ে ‘আইজিএম-এন্টিবডি পরীক্ষার কার্যকারিতাও নিয়েও প্রশ্ন আছে। এ অবস্থায় পরীক্ষা করে চিকুনগুনিয়া সনাক্ত না করার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
বি.বা/ডেস্ক/ক্যানি